নতুন ধান ঘরে তুলতে নবান্ন উৎসবে মেতেছে কৃষক কৃষাণী

বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ কার্তিক ও অগ্রহনের এই দুই মাসের মধ্য দিয়ে কুয়াশাছন্ন চাদর মোড়ানো শীতের মোহমহীতা, আর এই কনকনে ঠাণ্ডা চাদর মোড়ানো শীতের দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা বেশ অনেকটা কম, তবে শীতের রূপটি নিয়ে হেমন্তের সোনালী সকালের রোদ্রাস্কীত শরতের দুপুরের চারপাশে হেমন্ত হুল হুল করা আবেশ। এদিকে, গাজীপুর শ্রীপুরে আমন ধানে বাম্পার ফলন। কৃষাণ কৃষাণীরা মেতে উঠেছে নবান্নের উৎসবে।
সেই সাথে রঙিন হয়ে উঠেছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সোনালি স্বপ্নের ছড়াছড়ি। নতুন ধানের উপস্থিতিতেই কৃষক পরিবারে লেগেছে আনন্দের ঢেউ। বাতাসে ভেসে আসছে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলেও কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়ে গেছে ধানকাটা।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এ উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে।যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৭ হাজার ৩ শত ৫ মেট্রিট টন। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও ভাল ফলন পেয়ে খুশি কৃষকেরা। শ্রীপুর পৌরসভার কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, ‘আল্লাহর রহমতে এ বছর ভালো ফসল হয়েছে। পোকামাকড় তেমন আক্রমন করেনি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস. এম মূয়ীদুল হাসান জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ফলনের বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক সহযোগিতা ও সরকারি সহায়তায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
এএজেড
