নিয়ম না মেনে আন্ডার গ্রাউন্ড তৈরি, ঝুঁকিতে ২ বহুতল ভবন

মাদারীপুরে ভবন নির্মাণ করার সময় গভীরে মাটি খনন করায় দুটি দোকান ধসে পড়েছে। এ ছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে পাশের দুটি বহুতল ভবন। এরইমধ্যে ঝুঁকিতে থাকা ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে শহরের শকুনী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে মাদারীপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শকুনী মৌজায় ৬ তলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে গ্রীস প্রবাসী এনায়েত হোসেনের স্ত্রী মাখরুণ নাহার। আন্ডার গ্রাউন্ডের জন্য মাটি খনন করলে প্রথমে স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও কর্ণপাত করেনি মালিক পক্ষ। মাটির গভীরে খনন করায় শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই ধস নামে নির্মানাধীন ভবনের পূর্বপাশের দুটি দোকানে। প্রকট শব্দে কেপে উঠে মাদারীপুর শহরের লেকের দক্ষিণপাড়ের নির্মিত বহুতল ভবনগুলো। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসীরা। পরে মালামাল সরিয়ে নেন দোকানীরা। এ ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ পাশের দুটি বহুতল ভবন ঝুঁকিতে থাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ফায়ার সার্ভিস। নিয়ম না মেনে ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড করায় এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল দোকানদার খোকন তালুকদার বলেন, আমার দোকানে থাকা কর্মচারীর মাথার উপর ইট এসে পড়ে। পরে বুঝতে পারি দোকানে ধস নেমেছে। অতিরিক্ত মাটি খননেই এই অবস্থা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরু চৌধুরী বলেন, নিয়ম না মেনেই ভবন নির্মাণ কাজ করায় এই অবস্থা হয়েছে।
এদিকে নতুন ভবন নির্মাণ করা মালিক মাখরুণ নাহার বলেন, যতটুকু ক্ষতি হয়েছে আমি ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিব। প্রয়োজনে সবকিছু আগের মতো ঠিক করে দিব। আমরা নিয়ম মেনেই ভবন ও আন্ডার গ্রাউন্ড নির্মাণ করছি।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুজ্জামান রাসেল জানান, ৬ তলা ভবন নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আন্ডার গ্রাউন্ডের অনুমতি না দেওয়া হলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটি খনন করায় ভয়াবহ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, আন্ডার গ্রাউন্ডের জন্য মাটি খনন করায় এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি দোকানে ধস নেমেছে। এ ছাড়া দুটি ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবনে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাটি খননের বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এসআইএইচ
