সিত্রাংয়ের প্রভাবে আমন তলিয়ে পানির নিচে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলের জমি। পানিতে নষ্ট হয়েছে উঠতি আমন ধানসহ নানা ফসল। জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ এখোনো জানা যায়নি। তবে অনুমান বা ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়েছে।
গত দুই দিনে মাদারীপুরে টানা ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে জেলা সদরের দুধখালী এলাকার এওজ, বলষা, পলাশপুর, নতুন রাজারহাট, কুনিয়া, পাচঁখোলা, ছিলারচর,শ্রীনদী সহ অন্তত ৯টি ইউনিয়নের প্রায় সব আমন ক্ষেতের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া কালকিনি উপজেলার নদীবেষ্টিত মিয়ারহাট,পুর্ব এনায়েতনগর,রমজানপুর, খুনেরচরসহ নিম্নামাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শিড়খাড়া ইউনিয়নের নতুন রাজারহাট এলাকার কৃষক উজ্জল মাতুব্বর বলেন, এবার উঠতি রোপা আমন ধান ৬৩ শতাংশের ৬ বিঘা জমিতে রোপন করেছি। হঠাৎ এ ঘূর্ণিঝড়ে আমার সব ধানই তলিয়ে গেছে। ৯০ হাজার টাকার বেশি ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। প্রতি শতাংশে অন্তত আধা মন ধান হতো, পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কিছুই ঘরে তুলতে পারবো না।
এ পানি কবে নামবে আর কবে ধান তুলব, সব পঁচে শেষ হয়ে যাবে। আরেক কৃষক লিটন মল্লিক বলেন, পানির যে অবস্থা,এক ভাবে জমে আছে কোনো দিক দিয়েই পানি বের হতে পারছে না। যে কারণে ধানের আশা নাই। আর ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই ধান কাটা যেত, এখন আর সম্ভব না। কৃষি অফিস যদি আমাদের দিকে নজর দিতো, তাহলে আগামীতে যে ইরি ধান লাগাব, সেখানে একটু সহযোগিতা পেতাম। তাহলে আমাদের উপকার হত।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তররের উপ-পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এবার রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৪ হেক্টরে, আর আগাম শাক-সবজি চাষ হয়েছিল ৬৫০ হেক্টরে। যার ৮০ শতাংশই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক কলা বাগানের ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া নিম্নামাঞ্চলের অন্যান্য ফসলেও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। তবে রোদ উঠলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিটি ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের দায়িত্ব দিয়েছি। সুনির্দিষ্ট পরিমান আরও দুই তিন দিনের মধ্যে দিতে পারব।
এএজেড