চেয়ারম্যানের ছেলের মধ্যস্থতায় পার পেল ব্রিজের রড চোর
ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর এলাকার শিয়ালকুল ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে রড চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পরে আওলাদ নামের স্থানীয় এক যুবক। স্থানীয়রা অভিযোগ করলে এঘটনার তদন্ত করতে এসে ঘটনার সত্যতা পান উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম।
পরে সুয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কফিল উদ্দিনের বড় ছেলে মোঃ হালিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীকে ওই ব্রীজের রেলিং নতুনভাবে তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আইনি প্রক্রিয়ায় যায়নি উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রতিশ্রুতির প্রায় তিনমাস পেরিয়ে গেলেও মোঃ হালিম এখন পর্যন্ত ব্রিজের রেলিং তৈরি করে দেননি।
এ বিষয়ে সুয়াপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ আরশেদ আলী ঢাকা প্রকাশকে বলেন, রাতের আধারে ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে রড চুরি করে সুয়াপুর মোড়ের চানুর ভাঙ্গারীর দোকানে বিক্রি করতে যায় শিয়ালকুল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আওলাদ। খবর পেয়ে আমিসহ এলাকাবাসী চানুর দোকানে গিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরি।
পরে এলজিইডি অফিসে জানালে ওনারা তদন্ত করতে আসে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের ছেলে মোঃ হালিম ব্রিজের রেলিং নতুনভাবে তৈরি করে দিবে বলে ইউএনও স্যারকে বলেন। কিন্তু প্রায় তিনমাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ব্রিজের রেলিং তৈরি করে দেননি হালিম।
তিনি আরও বলেন, আওলাদ হোসেন চেয়ারম্যানের বড় ছেলে মোঃ হালিমের ঘনিষ্ঠ সহচর। হালিমের কারনেই সরকারি জিনিস চুরি করেও পার পেয়ে গেছে আওলাদ। এ বিষয়ে এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা প্রকাশকে বলেন, এ ঘটনা প্রায় তিন মাস আগের। আমি সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। পরবর্তীতে ইউএনও স্যারও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। চেয়ারম্যানের ছেলে ইউএনও স্যারকে ব্রিজের রেলিং নতুনভাবে তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ফলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী ঢাকা প্রকাশকে বলেন, ব্রিজের রড চুরির ঘটনায় স্থানীয় একজনের সাথে কথা হয়েছিলো তারা ঠিক করে দিবে। এটা এলজিইডি অফিস থেকে মনিটরিং করার কথা। কিন্তু এখনো রেলিংটি ঠিক করে দেওয়া হয়নি। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাহলে এলজিইডি অফিস মামলা করে দেবে।
এ বিষয়ে এলজিইডি ধামরাইয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামাণিক বলেন, আমি গতকালই যোগদান করেছি। আপনার কাছ থেকে ব্যপারটা জানলাম। আগামী দুই দিনের মধ্যে ব্রিজের রেলিং ঠিক করে দিতে বলবো। যদি না দেয় তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।
এবিষয়ে এলজিইডি ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদুর রহমান মল্লিক ঢাকা প্রকাশকে বলেন, আমরা এই বিষয়ে অবগত ছিলাম না। আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। আমি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য মোঃ হালিমের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ করে কেটে দেন তিনি। তারপর একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।
এএজেড