নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত ৭৩ জনপ্রতিনিধি
উৎসবমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে জেলার সংরক্ষিত আসন টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী-গোপালপুর) এর ৬টি ইউনিয়নের ৭৩ জনপ্রতিনিধি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
এ নিয়ে সংরক্ষিত আসন-১ এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাধিকার না পাওয়া জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা করার পর মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি, অরণখোলা, কুড়াগাছা, ফুলবাগচালা, মহিষমারা ও আউশনারা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ওই ছয় ইউপির জনপ্রতিনিধিরা ভোটাধিকার পাননি। তবে ওই ছয় ইউপির সাম্প্রতিক নির্বাচনে যেসব জনপ্রতিনিধি পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন শুধুমাত্র তারাই ভোটাধিকার পেয়েছেন।
শোলাকুড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আইন উদ্দিন খান, ৭নং ওয়ার্ডের রনজিত নকরেক, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য তিরলা চিরান, কুড়াগাছা ইউনিয়নের জোবেদা বেগম জানান, তারা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার পাননি।
তারা মনে করেন, তাদের ভোটাধিকার না দেওয়ার প্রভাব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপর পড়েছে। তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে মধুপুর-ধনবাড়ী-গোপালপুর আসনের সংরক্ষিত মহিলা পদে ফলাফল ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী-গোপালপুর) আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দোয়াত কলম প্রতীকের ফাতেমাতুজ জোহরা জানান, মধুপুর উপজেলার ১৫৯ জনের ভোটার তালিকা তাকে নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনাসহ প্রচারণা চালিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন, আর একজন অসুস্থ থাকায় ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচনের সময় দেখা যায়, মধুপুরের ৮৪ জন জনপ্রতিনিধি ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছেন। অন্যদের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজ্য নয়’ বলে ভোটার তালিকায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর) আসনে সদস্য পদে খন্দকার শফি উদ্দিন মনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী-গোপালপুর) সংরক্ষিত মহিলা পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হচ্ছেন- ফাতেমাতুজ জোহরা (দোয়াত কলম), মাহমুদা খাতুন (হরিণ) ও মোছা. আছমা খাতুন (ফুটবল)।
টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, ভোটার তালিকা করার সময় ওই ছয় ইউনিয়নের নির্বাচন হয়নি। সেজন্য নির্বাচনের পরে যেসব জনপ্রতিনিধিরা পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন শুধুমাত্র তারাই ভোটার হতে পেরেছেন। ওই সব ইউনিয়নে যারা নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন তারা ভোটার তালিকাভুক্ত না হওয়ায় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আইন মেনে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তা ছাড়া ওই ছয় ইউনিয়নের বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আগে থেকেই জানানো হয়েছে।
এসজি