লাশ দেখে যা বললেন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কলেজছাত্রী
টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোল চত্বরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
বাসে থাকা জান্নাতুল (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন উদ্ধারকর্মীরা। জান্নাতুলের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহারাজপুর টিকরা গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
জান্নাতুল বলেন, বাসে উঠার পর থেকেই লক্ষ্য করি চালকের গাড়ি চালানো স্বাভাবিক ছিল না। একপর্যায়ে বাসে ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ বিকট শব্দ পেয়ে ঘুম ভাঙে। তারপর দেখি আমাদের বাসটি উল্টো হয়ে সড়কে পড়ে আছে। পরে একের এক লাশ দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তার কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে জানতে পারি বাসের গেট কেটে আমাকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান। পরিদর্শনকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তাসহ আহতদের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহনের কথা জানান।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বে একতা পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস টোলপ্লাজা পার হয়ে গোল চত্বরে পৌঁছালে অপর একটি বাস ওভারটেকের চেষ্টাকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে উত্তরবঙ্গগামী মাইক্রোবাসের উপর উল্টে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অনেকে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালান।
এসজি