শ্রমিককে নির্যাতনের অভিযোগ যুবলীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে
সাভারে মো. সুমন মিয়া (২০) নামে এক শ্রমিককে মারধরের পরে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের ছেলে আহমেদ ফয়সাল নাইম তুর্যের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই পোশাক শ্রমিক অভিযুক্ত তুর্যসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) সজল খাঁন অভিযোগের বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী সুমন বরিশাল জেলার পাতারহাট থানার পূর্ব সাক্ষী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে সাভারের ইমান্দিপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের ছেলে আহমেদ ফয়সাল নাইম তুর্য, ইমান্দিপুর এলাকার বিল্লাল হোসেন, চাঁন মিয়া ও অনিক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোশাক শ্রমিক সুমনের সঙ্গে তাদের পুর্ব বিরোধ ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অভিযুক্ত হালিম ভুক্তভোগীকে তুর্যদের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে বাকি অভিযুক্তরা অবস্থান করছিলেন। সুমন ডেকে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তুর্য তার হাতে থাকা লোহার স্প্রিং দিয়ে তার হাঁটুসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করেন। অন্য অভিযুক্তরা তাকে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুষি মারেন ও জোর করে মাথার চুল কেটে মাথা ন্যাড়া করে দেন। পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন। তুর্যদের বাসা থেকে অনেক কষ্টে বের হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। আজ ভুক্তভোগী সুমন সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তের বাবা যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই যুবকের চুল আমার পরিবারের সদস্য কেটে দিয়েছে এটা আপনি কীভাবে জানলেন? এমন প্রশ্ন করে তিনি ফোন রেখে দেন।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) সজল খাঁন বলেন, আজ দুপুরে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত করবেন এসআই রুবেল। তবে তিনি আজ ভিআইপি ডিউটিতে ছিলেন। থানায় এলে তাকে অভিযোগের কপি দেওয়া হবে।
এসএন