খেলায় হেরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা
নেত্রকোনায় স্কুলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ফুটবল খেলায় হেরে প্রতিপক্ষ স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে পরাজিত স্কুলের শিক্ষার্থীরা। নেত্রকোনার মদনে ৪৯তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় গত বৃহস্পতিবারের খেলায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়কে উপজেলা পর্যায়ের সব ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ থেকে দুই বছর বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা ক্রীড়া কমিটি। আজ শনিবার খেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জোবাইয়াদা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম পর্বের ফুটবল ম্যাচ চলছিল। জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সঙ্গে ফতেপুর এসএসি উচ্চবিদ্যালয়ের খেলা হয়। সেই ম্যাচে ২-১ গোলের ব্যবধানে টাইব্রেকারে জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরাজিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা 'ফলাফল মানি না, মানব না' বলে মিছিল শুরু করে।
একপর্যায়ে বিজয়ী ফতেপুর এসএসি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তারা। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরে যায় ফতেপুর এসএসি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ওই দিন অন্য আরও চারটি দলের খেলার কথা থাকলেও উপজেলা প্রশাসন আর কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে শনিবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে সভা বসে। খেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়কে উপজেলা পর্যায়ে সব ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ থেকে দুই বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মদন উপজেলা চেয়ারম্যান ও খেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, খেলাধুলায় বিশৃঙ্খলা করায় জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়কে দুই বছরের জন্য সব ধরনের খেলাধুলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এএজেড