শরীয়তপুরে তিন দপ্তরের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ২ কোটির বেশি
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। বকেয়া বিল উত্তোলনেও নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শরীয়তপুর পৌরসভা, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২ কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলেও বিল পরিশোধের মাথা ব্যাথা নেই সরকারি তিন প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে শরীয়তপুর পৌরসভার বকেয়া বিল ১ কোটি ৭৬ লাখ এবং জেলা পুলিশ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বকেয়া বিল ৩৬ লাখ টাকা। বার বার দপ্তর দুটিকে চিঠি দিয়েও সমাধান পাচ্ছে না ওজোপাডিকোর কর্তৃপক্ষ।
শরীয়তপুরের ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো) সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভার গত ৮ থেকে ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে ২ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে ছিল। একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোন সমাধান করা সম্ভব হয়নি (ওজোপাডিকোর)। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর কয়েক ধাপে ২০ লাখ টাকার মতো বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তবে এখনো তাদের বকেয়া ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার উপরে। এ বিষয়টি নিয়ে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা পুলিশের পুলিশ লাইন্স ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ৩৬ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। অন্যদিকে শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তাদেরও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, আমি দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পরেই দেখি পৌরসভার ২ কোটি টাকার মতো বিল বকেয়া রয়েছে। ইতিমধ্যে বকেয়া থাকা বিল থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে নতুন করে আসা বিল বকেয়া নেই। শীঘ্রই বকেয়া বিল ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল হক বলেন, সবে মাত্র গত সপ্তাহে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ৩৬ লাখ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি জেনেছি। বরাদ্দ এলেই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, তিন প্রতিষ্ঠানকেই একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে বকেয়া বিলের জন্য। তবে পেছনের বকেয়া থেকে ইতিমধ্যে কিছু টাকা পরিশোধ করেছে পৌরসভা।
এসআইএইচ