স্পর্শকাতর ঘটনার বিচার গ্রাম্য সালিশে না করতে এসপির নির্দেশ
গ্রাম্য সালিশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো অপরাধের বিচার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহা. আহমার উজ্জামান।
রবিবার (৬ মার্চ) বিকালে নগরীর খাগডহরের বাহাদুরপুর আবাসন মোড়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের বিট পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে অনেক স্থানীয় বিরোধ মিমাংসা হয়। কিন্তু ধর্ষণসহ স্পর্শকাতর ঘটনার বিচার ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য এবং স্থানীয় মাতব্বররা করতে পারবেন না। এ জন্য থানা পুলিশের সহায়তা নিতে হবে। অন্যথায় তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
মাদক নির্মূলে পুলিশ বাহিনী দিন-রাত কাজ করছে জানিয়ে মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে কোনো ছাড় দেয় না পুলিশ। পুলিশের কোনো সদস্যও যদি অপকর্ম করে, এমনকি মাদকের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘পুলিশি সেবা কার্যক্রমকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই বিট পুলিশিং। জনগণের সমস্যা এবং অভিযোগ সরাসরি বিটে কর্মরত অফিসারকে জানাতে পারে একজন ভুক্তভোগী। তাই থানায় না গিয়েও অনেকে জিডি বা অভিযোগ দিতে পারছেন কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন।
স্বাগত বক্তব্যে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘জনসাধারণের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমানো এবং পুলিশ ভীতি কমাতে আমরা কাজ করছি। কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা ও জিডি করতে কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। এ ছাড়া মামলা করতে এখন আর কাউকে থানায় যেতে হয় না। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
পুলিশ পরিদর্শক ওয়াজেদ আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল বাশার, ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক, শামছুল হক কালু, একরামুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হক, শফিকুল ইসলাম তপন, বিট অফিসার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এমএসপি