গৃহবধূকে তাড়াতে মারধর ও পাগল আখ্যা
গাড়ি কেনার এক লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে প্রথমে বেধরক মারধর করে স্বামী। এরপর তিন দিন আটকে রেখে পাগল আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে স্বামী কালু হাওলাদার ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এমটাই অভিযোগ করেন স্ত্রী শাহিনুর বেগম। শনিবার (৫ মার্চ) রাতে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার স্বজনরা।
অভিযুক্ত কালু হাওলাদার বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামের মোতালেব হাওলাদারের ছেলে।
শাহিনুর বেগম অভিযোগ করে জানান, ১০ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে কালু হাওলাদারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাকে মারধর করে আসছে স্বামী কালু ও তার পরিবারের লোকজন।
শাহিনুর বলেন, গত এক মাস আগে গাড়ি কেনার জন্য আমার বাবার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে কালু। বাবা টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তিন দফায় আমাকে মারধর করে কালু। তখন ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এতে শান্ত হয়নি কালু।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাকে আবারও টাকা আনতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী কালু, শ্বশুর মোতালেব, শ্বাশুড়ি কহিনুর ও ননদ রোকেয়া আমাকে বেধরক মারধর করে। পরে পাগল আখ্যা দিয়ে তিন দিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।
আহত গৃহবধূ বলেন, বিয়ের দশ বছরে শতাধিকবার মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
তবে যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করে স্বামী কালু হাওলাদার বলেন, আমাকে মারতে আসায় মারধর করেছি।
এ ব্যাপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। গৃহবধূকে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. লুনা আক্তার বলেন, গৃহবধূ শাহিনুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এসআইএইচ