হোটেল কক্ষে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার পুলিশের এসআই
খুলনায় নগরির হাদীস পার্কসংলগ্ন সুন্দরবন আবাসিক হোটেলের অসুস্থ ১১ বছরের মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণের অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম সে সময় 'মাতাল' ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার ভোর রাতে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম পুলিশের নগর গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনা থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, অসুস্থ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ভাগনেকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে মোংলা থেকে খুলনা আসেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে তারা সুন্দরবন আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষ ভাড়া নেন। একটি কক্ষে মা-মেয়ে ও অপরকক্ষে তার ভাগনে আলিমুল ইসলাম বাবু ছিলেন।
রাত আড়াইটার দিকে হোটেলকক্ষের দরজায় জোরে জোরে শব্দ হয়। কে? জিজ্ঞেস করতেই পুলিশ এসেছে বলে জানান হোটেলের বয় গোলাম মোস্তফা। গোলাম মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়েই ৩১৩ নম্বর কক্ষের দরজায় নক করছিলেন ডিবির এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম। পুলিশের কথা শুনে দরজা খুলে দেন গৃহবধূ।
এসআই জাহাঙ্গীর আলম গৃহবধূকে জিজ্ঞাসা করেন সঙ্গে থাকা মেয়েটি তার কি না। এ সময় পুলিশ হোটেল বয়কে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ করেন। এর আগে মেয়েকেও ধর্ষণের হুমকি দেন তিনি।
এ সময় তার চিৎকারে হোটেলের ম্যানেজার এগিয়ে আসেন। তিনি গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও খুলনা থানায় ফোন করেন। পরে খুলনা থানা পুলিশ গিয়ে এসআই জাহাঙ্গীরকে আটক করে। এ ঘটনায় রাত ৪টার দিকে ওই নারী বাদী হয়ে খুলনা থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। এসআই জাহাঙ্গীরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি কমিশনার বি এম নুরুজ্জামান বলেন, 'ঘটনার সময় এসআই জাহাঙ্গীর মাতাল ছিলেন।'
কেএফ/