ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা থামছেই না। বছরের শুরুতেই দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় নয় দিনে ৪৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন বহু মানুষ। সেফ জোন বা নিরাপদ স্থানও এই হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আল জাজিরার মতে, চলমান হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ছয় জনে, আর আহত হয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৩৭৮ জন। ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের নিচে আটকে থাকা অনেক মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা করা গেলেও এখনো অনেকে সেখানে চাপা পড়ে আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অনেকেই হয়তো মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনেন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী ২৪৭ জন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে গ্রেফতার করেছে। তাদের ‘বন্দী’ বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজায় নিরবচ্ছিন্ন বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলা থেকে ২৩ লাখ মানুষের আবাস গাজা উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন এমনকি শরণার্থী শিবিরও রক্ষা পায়নি। এই আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধসহ অন্যান্য জরুরি পণ্যসংকটে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় পুরো গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।