নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় নিজের ৮ বছরের সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতা ইমাম হোসেন মিসকিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমাম সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারি গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় সাত মাস কারাগারে থেকে তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্ত ছিলেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, মামলার পরপরই ইমামকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে এ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানায় ইমামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা করেন তার স্ত্রী। মামলায় ইমাম ছাড়াও চর দরবেশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালামকে আসামি করা হয়। আর শিশুর মামা আসামি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আজাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ইমাম হোসেনের সঙ্গে ১৭ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। ২৭ জানুয়ারি রাতে তিনি রান্নাঘরে রুটি তৈরি করছিলেন। এ সময় তার আট বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করে তার স্বামী। রান্নাঘর থেকে এসে বিছানার ওপর মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তড়িঘড়ি করে ইমাম হোসেন পালিয়ে যান।
ভিকটিমের মা জানান, ঘটনাটি ২৮ জানুয়ারি ইমামের মামা আবুল কালাম আজাদকে জানান। কিন্তু ধর্ষণের বিষয়টি সমাধান না করে ৩০ জানুয়ারি আজাদের পরামর্শে দেনমোহরের ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করে তাকে তালাক দেন যুবদল নেতা ইমাম।
তিনি আরও জানান, এর আগে আরও দুটি বিয়ে করেন ইমাম। ওই দুই সংসারে তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম হোসেন মিসকিন স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে নিজের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তালাকের বিষয়টি স্বীকার করলেও তাকে ধর্ষণের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি তাকে জানানো হলে তিনি বাদিকে থানার আশ্রয় নিতে বলতেন।
টিটি/