বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাস্তার কারণে বিয়ে হচ্ছে না এই এলাকার ছেলে-মেয়ের

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুড়িয়া ইউনিয়নের কাশিয়ারা, শিবরামপুর, হরিনাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির একেবারেই বেহাল দশা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই বৃষ্টিতে কাদা জমে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়ে এই রাস্তা। দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থী, রোগীসহ ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের। এমনকি অভিযোগ রয়েছে, রাস্তার কারনে মানুষ ছেলে-মেয়ের বিয়েও দিতে চান না এই এলাকায়।

রাস্তার পাশে থাকা গাছের কারণে টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ হয় না রাস্তার। ভোগান্তিতে কয়েক হাজার মানুষ। জনদুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার অবসান ঘটাতে রাস্তাটি পাকা করা প্রয়োজন এবং রাস্তাটি পাকা করার জন্য গাছগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

কাঁদাযুক্ত রাস্তায় ধানের চারা বপন করছেন এলাকাবাসী

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের চাটশাল পাকা রাস্তার মোড় থেকে শিবারামপুর গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা এই রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা চলাচল করে। প্রত্যেক বছর বর্ষা মৌসুম এলেই বৃষ্টিতে কাদা জমে এসব গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতেও চায়না কেই এই গ্রামে। গ্রামবাসী বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও রাস্তাটি পাকা করণের উদ্যোগ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা। এতে প্রায় ১০টি গ্রামের ২০ হাজার বাসিন্দা ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি দেখে মনে হয় হাল চাষ করার জমি। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীসহ শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারী এবং মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তাটির পাশে থাকা গাছ কর্তন না করার ফলে টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ শুরু হয়নি। এমন ভোগান্তির প্রতিবাদস্বরূপ রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন গ্রামবাসী ও পথচারীরা।

রাস্তার কারণে বিয়ে হচ্ছে না এই এলাকার ছেলে-মেয়ের

স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, এমপি, চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় এসে বড় বড় কথা বলে যায়। নির্বাচন পার হলে তারা আর এলাকায় আসে না। আমরা এই এলাকার মানুষ কি অপরাধ করছি জানি না, যার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। গ্রামের রাস্তার এমন বেহাল দশা যে বর্ষা মৌসুমে আমরা ভয়ে ঘর থেকে বাহির হতে পারি না। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না এমনকি এই এলাকার ছেলে-মেয়েদের কেউ বিয়েও করতে চায় না। বর্ষার সময় আমরা ধান বাজারে বিক্রি করতে পারি না, সময়মতো বাজার করতেও পারি না। এক কথায় সবদিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে আমাদের এলাকার কয়েকটি গ্রাম।

নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুড়িয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোনারুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় এমপি ও চেয়ারম্যানকে বার বার বলেও গাছ কাটার বিষয়ে কোনো সামাধান করতে পারেননি গ্রামবাসী। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতা রফিকের দাপটে আমরা সবাই অসহায়। রাতের আধারে কে বা কাহারা গাছ কাটছে আর গ্রামের অসহায় মানুষদের নামে সে মামলা দিচ্ছে। শুধু গাছ কাটা নয়, রফিকের বিরুদ্ধে কেউ যদি কোন বাজে মন্তব্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধেই সে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। আমরা গাছ চাই না, আমরা রাস্তা প্রস্থকরণসহ রাস্তা পাকাকরণ চাই।

 

Header Ad

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আখন্দ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভা‌বিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দকে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ধারা ১০ (১) অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে তার যোগদানের তারিখ থেকে নিয়োগ প্রদান করা হলো। ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ হ‌বে ৪ বছর।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ ও আহতরা এক লাখ টাকা করে পাবেন

ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যেক পরিবার প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা দেওয়া হবে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আহতদের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শহীদদের পরিবারের জন্য চেক হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সমাজের সব স্তরের মানুষ, বাংলাদেশি প্রবাসী, সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবারের সভায় কমিটি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য একটি অফিস স্পেস এবং এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস এবং অন্যান্য নথি এবং স্মারক সংরক্ষণ করা হবে এর মাধ্যমে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে বলেন, সামান্য পরিমাণ অর্থের অনুদানের দলিল করতে হবে এবং দাতাদের তালিকাও সংরক্ষণ করতে হবে। সম্ভব হলে তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটিকে সফল করতে আমাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, আহতদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে। সরকারের চিকিৎসার খরচ ছাড়াও ফাউন্ডেশন আহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমদ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরকারের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে প্রাণ হারানো মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় এ ফাউন্ডেশন। এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ। ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ করা হয় কাজী ওয়াকার আহমেদকে। কার্যনির্বাহী পরিষদে উপদেষ্টাদের মধ্যে আরও আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যোগ হবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

বক্তব্য রাখছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সারজিস বলেন, কোটা আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বক্তব্যকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্ৰেপ্তার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তাই ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টায় শরীয়তপুর পৌঁছান সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। দুপুর ১২টায় ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।

সর্বশেষ সংবাদ

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আখন্দ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ ও আহতরা এক লাখ টাকা করে পাবেন
শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস
নওগাঁর নিতপুর সীমান্ত থেকে ২ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
আবারও মিয়ানমার সীমান্তে গুলি, টেকনাফে আতঙ্ক
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
জিডির বাধ্যবাধকতা থাকছে না হারানো এনআইডি তুলতে
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬৫ জন
দিনব্যাপী মেরামত শেষে প্রস্তুত মেট্রোরেলের মতিঝিল রুট
সকালে উঠে সামনে নয়, পিছন দিকে হাঁটুন! উপকার জানলে অবাক হবেন
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ
মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫, অবসরে ৬৫ নির্ধারণের প্রস্তাব
শেখ হাসিনাসহ সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
বিটিভির খবর বেসরকারি টিভিগুলোকে প্রচার করতে হবে না: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে সম্মান দেখিয়ে গম্ভীর বললেন ‘আমরা কাউকে ভয় পাই না’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় অনুমোদন পেল ৪ প্রকল্প
রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক