সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৮০ শতাংশ গ্যাস সিলেটের, তবুও বঞ্চিত সিলেটবাসী

দেশের সব গ্যাসক্ষেত্র মিলে দৈনিক গ্যাস উত্তোলন হয় ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। যার ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটই উত্তোলন হয় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র থেকে। তবে মাত্র ৩৬২ মিলিয়ন ঘনফুট ব্যবহার করেন সিলেটবাসী। উত্তোলনের হিসাবে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ গ্যাসই সিলেটের। অথচ গ্যাস পাচ্ছেন না সিলেটের মানুষ। সেই সঙ্গে নিয়মের দোহাই দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে ছয় থেকে সাত হাজার পুনঃসংযোগ। বাণিজ্যিক খাতে সংযোগের অভাবে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহারে ঝুঁকিতে আছেন ৩০ সহস্রাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

সিলেটের গ্যাস বিতরণ কেন্দ্র জালালাবাদ গ্যাসের ঠিকাদারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। আর ২০১৬ সালের ২০ জুন বন্ধ হয় বর্ধিত সংযোগ। এর পর থেকে আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালু করার দাবিতে আন্দোলন করেও মিলেনি সুফল।

ফিরিয়ে দেওয়া হয় ২০ হাজার গ্রাহকের সংযোগ ফি

জালালাবাদ গ্যাসের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্যাস সংযোগ বন্ধের সিদ্ধান্তের আগে সিলেটের অসংখ্য মানুষ নতুন সংযোগের জন্য আবেদন জমা দেন। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারদের কাছ থেকে এর একটি তালিকাও সংগ্রহ করে। সিলেট বিভাগের সব জেলা মিলে যার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৩০ হাজার। এর মাঝে ২০ হাজার আবেদনকারীই গ্যাস সংযোগ পেতে নির্ধারিত পরিমাণ টাকাও জমা দিয়েছিলেন। পরে এসব গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও দীর্ঘ দিনে গ্যাস ব্যবহারকারী গ্রাহকদের মাঝে বর্ধিত সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন অন্তত দুই হাজার গ্রাহক। কিন্তু আগের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে এসব সংযোগও। অথচ ২০১৬ সালে গ্যাস সরবরাহ করতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থেকে বালাগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি গ্যাস লাইন টানা হয়, পরে ওই লাইনে গ্যাসও সরবরাহ করা হয়। তবে দেওয়া হয়নি কোনো সংযোগ।

গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ সচল করার দাবিতে সিলেটে গঠিত কমিটির সদস্য এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম বলেন, নিয়ম হচ্ছে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন হয়, সেসব এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। কিন্তু সিলেটের ক্ষেত্রে এটা হচ্ছে না। তাই আমরা শুরু থেকেই আন্দোলন করছি যাতে অন্তত আবাসিক গ্যাস সংযোগ সচল করা হয়। আমরা মনে করি আমাদের সিলেটে গ্যাস সংযোগ সচল রাখা উচিৎ। কারণ সিলেট থেকে উত্তোলিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডেও যাচ্ছে।

বিপাকে প্রবাসীরা

করোনাকালীন বকেয়া বিলের জন্য চাপ না দিতে সরকার থেকে নির্দেশনা থাওলেও সে সময়ই অহরহ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর লকডাউনের কারণে দেশে না আসতে পারায় প্রায় ৬ হাজার প্রবাসী নির্ধারিত এক বছরের ভেতর করতে পারেননি পুনঃসংযোগ আবেদন। তাতে এসব প্রবাসীরা সবাই নতুন সংযোগের আওতায় বিবেচিত হয়েছেন। তাই চেষ্টা করেও পাচ্ছেন না সংযোগ।

জালালাবাদ গ্যাস ঠিকাদার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পরমদ্যুতি দাস বলেন, ‘সিলেট বিভাগের মানুষ বেশিরভাগ প্রবাসী। যার অনেকেই পরিবার নিয়ে থাকার কারণে বিল বকেয়া হয় এবং এক বছরের ভেতর আবেদন করতে পারেন না। তাই পরে এরা নতুন সংযোগের আওতায় পড়েন। এমনকি করোনাকালীন অনেকে চাইলেও দেশে আসতে পারেননি। কিন্তু নিয়মের দোহাই দিয়ে এসব গ্রাহকের আর গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয় না।’

ঝুঁকিতে ৩০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী

সিলেট চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের নবনির্বাচিত সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, হিসাব অনুযায়ী সিলেট বিভাগে অন্তত ৩০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন যারা গ্যাসের জন্য ভোগান্তিতে আছেন। তারা সবাই এখন সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন। এসব সিলিন্ডার ব্যবহারে অনেক ঝুঁকি থাকে। প্রায় সময় বিস্ফোরণ হয়। এতে হতাহতের শংকা থাকে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটের যেসব জায়গা থেকেই গ্যাস উত্তোলন হয়, সেসব এলাকার মানুষের কোনো না কোনো রকম ত্যাগ আছে। কিন্তু তারা যদি গ্যাস জ্বালাতে না পারে তাহলে ত্যাগের মূল্য কী পেলেন? তাই আমাদের দাবি হলো সিলেট থেকে উত্তোলিত গ্যাসে আগে সিলেটবাসীর চাহিদা মেটানো হোক।’

এ ব্যাপারে করণীয় জানতে চাইলে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুয়াইব আহমদ মতিন বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের কিছু করার নেই। তবে যারা সংযোগের জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন তারা টাকা ফিরিয়ে নিয়েছেন।

বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন ও বিপণন) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোম্পানি (বিপণন প্রতিষ্ঠান) বোর্ড নিজস্ব ক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’

এসইউ/এসএন

Header Ad

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়। সকালে নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শীতের প্রকোপ থাকছে বেশি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের দাপট থাকছে বেশ।

নওগাঁ সবজি উৎপাদনে বৃহৎ জেলা। এ জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

চাষিরা বলছেন, শীত আগমনে সকালের দিকে মাঠে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

অন্যদিকে শীত আগমনে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এই সময়টাতে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে বলা হচ্ছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে।

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

হামলার পেছনে ইউসিবি গ্রুপ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা চাই না দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে আক্রান্ত হোক। কলেজ ভার্সাস কলেজ প্রতিযোগিতা হোক, মারপিট হোক এটা কিন্তু আমরা কখনো চাই না। আমি সব কলেজের গভর্নিং বডি এবং অভিভাবককে বলব, আপনাদের সন্তানকে বাসায় রাখুন। এটা আলোচনার মধ্যে সমাধান হবে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, এই জাতীয় সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল চারটায় তাদের সঙ্গে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি আলাপ-আলোচনার মধ্যে যেন সমাধান হয় সে প্রচেষ্টা আমরা রাখব। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা এটা অব্যাহত রাখব। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। সবার প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার