দুই যুগ পালিয়ে থেকে ধরা পড়লেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি
প্রায় দুই যুগ পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মহুবর রহমানের। রংপুরের একটি বস্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম গ্রেপ্তার মহুবরকে জেল হাজতে পাঠানোর বিষয় নিশ্চিত করেন।
মহুবর রহমান আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চর গোবর্দ্ধন গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্য রাতে রংপুর শহরের বস্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।
আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম জানান, গরুর ক্ষেত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে ১৯৯৯ সালের ২৭ মে স্থানীয় আফজাল হোসেন নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই কাচু শেখ বাদি হয়ে এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মহুবর রহমানকে প্রধান ও তার বাবা মনসুর আলীকে হুকুমের আসামি করা হয়। ঘটনার দিনই এলাকা থেকে পালিয়ে যান প্রধান আসামি মহুবর রহমান। একই বছরের ২ সেপ্টেম্বর তাদের বাবা মনসুর ও ছেলে মহুবরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদিতমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক।
ওসি আরও জানান,এ মামলায় ২০০৩ সালে প্রধান আসামি মহুবর রহমান ও তার বাবাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। বাবা মনসুর আলী গ্রেপ্তার থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ১৪ বছর সাজা ভোগ করলে সরকার তার বাকি সাজা মাফ করে দেন। ঘটনার দিন থেকে পলাতক থাকা মহুবর রহমান ২২ বছর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ছিলেন। চেহারায় খানিকটা পরিবর্তন করে দিনমজুরের কাজ করে আত্মগোপন করেন। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মোক্তারুল জানান, ছয় মাস আগে এসআই জয়নাল আবেদীন তাকে গ্রেপ্তারে অনুসন্ধান চালান। কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা এসআই জয়নাল আবেদীন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সোর্স নিয়োগ করে আসামি মহুবর রহমানের অবস্থান জানতে পারেন। পুলিশের অভিযান বুঝতে পেরে গত মাসে কুমিল্লা শহর ছেড়ে এসে রংপুরের এক বস্তিতে বসতি গড়ে তোলেন। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রংপুর পুলিশের সহায়তা নিয়ে মহুবর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন এসআই জয়নাল আবেদীন।
এসএন