প্রেমিকাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যত্র বিয়ে, প্রেমিকার অনশন
ছবি: সংগৃহীত
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুদিন ধরে অনশন করছেন এক তরুণী। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি।
রোববার (২৪ মার্চ) থেকে উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকা এ অনশন শুরু করেন ওই তরুণী।
জানা যায়, এ উপজেলার আব্দুল গফুরের ছেলে মো. সেলিম রেজার (২৯) সঙ্গে ওই তরুণীর ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে একসঙ্গে থেকেছেন তারা।
তবে ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, এখন সেলিম তাকে বিয়ে করতে রাজি নন। দুদিন আগে তিনি আরেক মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন। বিষয়টি জানাজানির পর ওই তরুণী সেলিমের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের দাবি করলে সেলিমের পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। তরুণীর দাবি, বিয়ে না করা পর্যন্ত তিনি সেলিমের বাড়ি থেকে বের হবেন না। এরই মধ্যে ঈশ্বরদী থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী।
ওই নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সেলিমের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে প্রেম। সে হঠাৎ অন্য কোথাও বিয়ে করবে এটা আমি কখনোই মেনে নেব না। সে আমাকে বিয়ে করবে এটাই শেষ কথা। এ ছাড়া আমি আর অন্য কোনো কথা জানি না। বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
তিনি আরও জানান, ও খারাপ ধরনের ভিডিও করেছে, যেগুলো দেখিয়ে আমাকে অনেক সময় ব্ল্যাকমেইল করেছে। দুই তিন লাখ টাকা আমার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে এভাবে। এখন আমি সর্বস্বান্ত। পরিবারের লোকজন আমাকে আর মেনে নেবে না। এখন মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সেলিমের বাড়িতে গিয়ে জানা যায় তিনি তার শ্বশুরবাড়িতে আছেন। তবে তার শ্বশুর বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান সেলিম।
ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এমন একটি ঘটনার লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেলিমের প্রতিবেশীরা জানান, এর আগেও অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করানোর কথা বলে সেলিম শতাধিক শিক্ষার্থী থেকে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছিল। পরে ওই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ফেল করায় তার বাড়িতে এসে আন্দোলন করেছিল। এখন আবার এ মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে দুই দিন আগে গোপনে আরেকজনকে বিয়ে করেছে। প্রতারণা ওদের রক্তে মিশে গেছে। এসব কাজে সেলিমের পরিবার সব সময় তাকে প্রশ্রয় দিয়েছে।