বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেছে, বিদ্যালয়ের একমাত্র পরীক্ষার্থী রুবিনা
ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর নাম রুবিনা আক্তার। তিনি উপজেলার মিয়াপাড়া নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ১১ নং কক্ষে মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন । তার রোল নম্বর- ৫১৭৪৭৭।
জানা গেছে, অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয়। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টির নিম্নমাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত হয়। এরপর ২০১২ সালে মাধ্যমিক পর্যায় পাঠদানের অনুমতি পায়। পাঁচজন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ১১ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। কাগজে কলমে শতাধিক ছাত্রী দেখানো হলেও বিদ্যালয়টি থেকে মানবিক বিভাগের একমাত্র শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। একটি এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় শিক্ষকদের কর্মতৎপরতা নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ অবস্থার জন্য করোনা ও বাল্যবিবাহকে দায়ী করেছেন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার জানান, বান্ধবীদের সবার বিয়ে হয়েছে। তাই একাই পরীক্ষা দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নুর জামাল মিয়া জানান, আমি কিছুদিন আগে এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি। অতীতে যা হয়েছে হয়েছে, আগামীতে প্রতিষ্ঠানটিতে যাতে বেশি ছাত্রী ভর্তি হয় সে জন্য সচেষ্ট থাকবো।
মিয়াপাড়া নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব নাজমা বেগম বলেন, অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট তিনজন শিক্ষার্থী ফরম পুরণ করলেও নিয়মিত ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি পেলেও প্রতিষ্ঠানটি জুনিয়র এমপিওভুক্ত। তবে মাধ্যমিক পর্যায় এমপিওভুক্ত করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে পাঠদানের অনুমতি বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে।