ভোট দিয়েই সরকার পরিবর্তন করতে হয়: ঢাবি ভিসি
ভোট দিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট দেওয়াটা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। দেশে ভোট দিয়েই সরকার পরিবর্তন করতে হয়। যারাই ক্ষমতায় আসবে ভোটের মাধ্যমেই আসতে হবে। তাই শত দায়িত্ব থাকা শর্তেও নাগরিক অধিকার পালন করার জন্য ভোট দিতে এসেছি। একই সঙ্গে অন্যরাও যেন ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ হয় এজন্য নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের লাহারকান্দি ফরিদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভোট প্রয়োগ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসছে। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
এ সময় মাকসুদ কামালের ভাতিজা ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত একেএম শাহজাহান কামালের ছেলে ফাহিম কামাল চৌধুরী উপল, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল করিম জেনি উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে নৌকা মার্কায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে তার বিপক্ষে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সাত্তার।
৪ জানুয়ারি ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যরা হলেন- বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মাহাবুবুল করিম টিপু (হাতুড়ি), তৃণমূল বিএনপির মো. নাইম হাসান (সোনালি আঁশ) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আবদুর রহিম (কাঁঠাল)।
সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে লক্ষ্মীপুর-৩ আসন গঠিত। এ আসনে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ২ লাখ ৯ হাজার ৯০ জন পুরুষ, ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ জন নারী ও ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। রাকিব ছাড়াও এ আসনে আরও ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনকে অবাধ-সুষ্ঠু করতে পুরো জেলায় সেনাবাহিনীর ৩৪৫ জন সদস্য, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৮টি পেট্রোল টিম, পুলিশ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন।