মমতাজ এর সম্পদ কমলেও চলেন কোটি টাকার গাড়িতে
ছবি সংগৃহিত
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের সম্পদ কমেছে, আয় বেড়েছে। এই লোকসংগীত শিল্পী এখন চলাচল করেন কোটি টাকা দামের গাড়িতে। পাঁচ বছর আগেও তাঁর এ গাড়ি ছিল না।
ঢাকার মহাখালীতে প্রায় সাত কোটি টাকা দামের বাড়ি আর এক কোটিরও বেশি টাকা দামের গাড়ি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মমতাজ বেগমের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। সিঙ্গাইর ও হরিরামপুর এবং সদর উপজেলার তিন ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসন। এ আসন থেকে ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন করছেন তিনি।
জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে এমপি মমতাজের ঋণের পরিমাণ কমেছে। হলফনামায় দেশের জনপ্রিয় এই গায়িকা সারা বছর গান থেকে আয় দেখিয়েছেন সাত লাখ টাকা। ২০১৮ সালে মমতাজ বেগমের বার্ষিক আয় ছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা। এখন সেটা ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। গত সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁর সম্পদের আর্থিক মূল্য ছিল ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। তবে এবার কমে হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৬৬ হাজার।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মমতাজের জমা আছে ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৮ টাকা। পুঁজিবাজারে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার আছে। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র আছে ৪৫ লাখ টাকার।
ঢাকার মহাখালীতে ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচতলা ভবন আছে মমতাজের। সিঙ্গাইরে গ্রামের বাড়িতে আছে দোতলা বাড়ি, যেটির মূল্য দেখানো হয়েছে ৫৭ লাখ ৫ হাজার টাকা।
মমতাজ বেগমের নামে গাড়ি আছে তিনটি। ল্যান্ড ক্রুজার নামে একটি গাড়ির দাম এক কোটি তিন লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ল্যান্ড ক্রুজার ভি-৮ মডেলের গাড়ির দাম ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ২৮ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা হাইয়েস আছে তার।
মমতাজ বেগমের ঋণ কমেছে। ২০১৮ সালে তাঁর ব্যাংকঋণ ছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার টাকা। এখন তা ২ কোটি ৮১ লাখ ৫৮ হাজার।
এবারের হলফনামায় তার বিরুদ্ধে দেশে কোনও ফৌজদারি মামলার কথা উল্লেখ নেই। মমতাজের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা আছে। তবে ওপার বাংলা কলকাতার হাইকোর্ট ও বহরমপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। প্রতারণা ও শর্ত ভঙ্গ করা দুই মামলার একটি সাক্ষ্য আরেকটি শুনানির পর্যায়ে আছে।
মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি মমতাজ বেগমের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, এবারেরটিতে স্বামীর নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিবর্তন হয়েছে। দ্বিতীয় স্বামী মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলীর পরিবর্তে উল্লেখ রয়েছে ডা. এ এস এম মঈন হাসানের নাম।
হলফনামায় মমতাজের স্বামীর নামে নগদ পাঁচ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৮ লাখ টাকা ও আট লাখ টাকা দামের গাড়ি কথা উল্লেখ রয়েছে।