বাবার কুলখানিতে ৬০ হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করলেন এমপি
ছবি সংগৃহীত
সাবেক অর্থ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও দেবিদ্বারে সাবেক সংসদ সদস্য এ.এফ.এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেবিদ্বার এবিএম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়াম মাঠে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে শোকাহত বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া কুলখানি অনুষ্ঠান চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করা হয়। দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল চৌধুরী এ তথ্য জানান।
মোস্তফা কামাল বলেন, প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী কুলখানিতে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মূল প্যান্ডেলের ভেতরে প্রায় ৪ হাজার মানুষ এক সঙ্গে বসতে পেরেছেন। এ ছাড়াও মাঠের উত্তর পাশে মহিলা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা দুটি প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্রায় ৩০০ বাবুর্চি অনবরত রান্না-বান্নার কাজ করেছেন। দেবিদ্বারে এ প্রথম এত বড় কুলখানির অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদ্য প্রয়াত এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর স্মরণে শোক সভা হয়েছে। শোক সভায় স্মৃতিচারণ করেন তার বড় ছেলে রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল (রকি), ছোট ছেলে দেবিদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার, দেবিদ্বার পৌর মেয়র প্রভাষক সাইফুল ইসলাম শামীম।
এ প্রসঙ্গে এমপি রাজী ফখরুল জানান, আমার বাবা দেবিদ্বারের মানুষের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। এ কুলখানিতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে আমার বাবাকে মানুষ কতটা ভালোবাসতেন। আমরা সুশৃঙ্খলভাবে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করাতে পেরেছি। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের অবিসংবাদিত ছাত্রনেতা সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থ উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সি ব্রেইন স্টোকে আক্রান্ত হয়ে গত ২১ অক্টোবর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।