যুবলীগ নেতা হত্যা: শুটার দেলোয়ারসহ গ্রেপ্তার ৩
শুটার দেলোয়ার ও তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেন
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক অভিযানে শুটার দেলোয়ারসহ আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এর মধ্যে বোরকা পরে সরাসরি হত্যায় অংশ নেওয়া শুটার দেলোয়ার ও তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অন্যদিকে জামাল হত্যাকাণ্ডে যে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল সেসব অস্ত্রসহ অপর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এবং র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। র্যাব বলছে, বোরকা পরে হত্যায় অংশ নেয় আরিফ, কালা মনির ও দেলোয়ার। এই তিনজনের মধ্যে আরিফ ও কালা মনির বিদেশে পালিয়ে গেছে।
গত ৩০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বোরকা পরা ৩ দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় গত ২ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনের নামে মামলা করেন নিহত জামালের স্ত্রী পপি আক্তার।
শুটার দেলোয়ার ও সহযোগী সাদ্দামকে গ্রেপ্তার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শুটার দেলোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি বোরকা পরে অংশ নেয় আরিফ, কালা মনির ও দেলোয়ার। খুনের মিশন শেষে তারা বিভিন্ন জনের সহযোগিতায় পালিয়ে যায়।
র্যাব জানায়, শুটার দেলোয়ার গ্রেপ্তার হলেও বিদেশে পালিয়ে গেছে আরিফ ও কালা মনির। পালাতে সহায়তাকারী গ্রেপ্তার সাদ্দাম পেশায় কলেজশিক্ষক।
এদিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, জামাল হোসেন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো কুমিল্লার চান্দিনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে উঠে আসা আসামি মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে, দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, ২৪ রাউন্ড গুলি এবং আসামিদের ব্যবহার করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত অন্যদেরও দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এসজি