বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতিশোধ নিতে হামলার পরিকল্পনায় উল্টো নিহত হন পনু

একই এলাকার বাসিন্দা, সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে। একজন স্থানীয় ইউপি সদস্য, অপরজন সংগঠক। তবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে উভয়ের মধ্যে চলছিল দ্বন্দ্ব। একাধিকবার হামলা, পাল্টা হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে। গত এক মাস ধরে একে-অপরের প্রতি হামলার প্রস্ততি চলছিল অনেকটা প্রকাশ্যেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছবিও ছড়িয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সংঘর্ষ বাস্তবতার রুপ নেয়। এতে সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনু নিহত এবং উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর জখম হন।

নিহত পনুর বাড়ি বরগুনা সদরের আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়ায়। তিনি মৃত মোসলেম আলী আকনের ছেলে।

সরেজমিনে, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের তথ্যমতে, বরগুনা সদরের আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম পনু ও একই এলাকার পাকুরগাছিয়া সোস্যাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আকাইদ হোসেন ঠান্ডার মধ্যে গত ৫ বছর ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ঠান্ডা নিহত পনুর মায়ের সম্পর্কে ভাই। সেই হিসেবে পনু ও ঠান্ডা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে শফিকুল ইসলাম পনুকে আয়লা বাজারে জনসম্মুখে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঠান্ডা বাহিনী। এরপর ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ফের পনুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে তারা। দুটি ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি হন আকাইদ হোসেন ঠান্ডা, কুদ্দুস খান ও বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার মৃধা। ২১ জুন নির্বাচনে ঠান্ডার প্যানেলের সমর্থিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মোতাহার মৃধা নির্বাচিত হন।

বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, বাবার ওপর বারবার হামলার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ছেলে নাজমুল হুদা অভি প্রতিপক্ষের উপর প্রতিশোধ নিতে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেন। গত এক মাস ধরে বাবা পনু ও ছেলে অভি সময়-সুযোগ বুঝে ঠান্ডা বাহিনীর উপর আক্রমণের প্রস্তুতি নেয় এবং গত ১০ এপ্রিল পনু ও তার ছেলে অভি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে ঠান্ডা বাহিনীর উপর হামলার প্রস্ততি নিলেও এলাকাবাসীর ধাওয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ সময় নিহত পনুর রামদা হাতে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ক্রমশ উত্তাপ ছড়াতে থাকে।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার পনুর ছেলে অভি সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে ঠান্ডা বাহিনীর উপর হামলার প্রস্ততি নেয়। অভি তার ফেসবুক প্রফাইলের স্টোরিতে দেশীয় অস্ত্রসহ ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করে। যার ক্যাপশনে লেখা ছিল 'বুঝো নাই'। মল্লিক নামের একজন এতে মন্তব্য করেন 'এগুলা সোশ্যাল মিডিয়াতে দিলি'।

পাকুরগাছিয়ার ঘটনাস্থলের পাশেই চায়ের দোকানদার শিউলী বেগম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে ১৩ জন মুখোশধারী ব্যক্তি ঠান্ডার ক্লাবের (পাকুরগাছিয়া সোস্যাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) সামনে আসে। এ সময় আকাইদ হোসেন ঠান্ডা ক্লাবের ভেতরে বসে দুইজন ব্যক্তির সাথে কথা বলছিলেন। অপরদিকে মুখোশধারীরা গাড়িটি ক্লাবের দরজার সামনে থামিয়ে ৭-৮ জন ভেতরে প্রবেশ করে দরজা আটকে তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। একই সময় বাইরে থাকা মুখোশধারীরা ঠান্ডার চাচাতো ভাই হাসিব ও মজিবরকেও কুপিয়ে জখম করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় তাদের চিৎকারে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে ঠান্ডাকে খুন করা হয়েছে। খবর শুনে ঠান্ডার সমর্থক, স্বজন ও এলাকাবাসী সবাই এগিয়ে আসে। এক পর্যায়ে বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার মৃধা ও কুদ্দুস খান নামের একজনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে পনুর বাড়িতে যায়। এ সময় তারা পনুকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে পনুর স্ত্রী ছবিকেও পিটিয়ে আহত করে। এ ছাড়াও একই সময়ে পনুর বাড়িতে থাকা একই ইউনিয়নের কদমতলার কবির মিয়ার ছেলে জাহিদ ও ঢলুয়া ইউনিয়নের হোসেন হাওলাদারের ছেলে সজিব হোসেনকেও কুপিয়ে জখম করে।’

নিহত শফিকুল ইসলাম পনুর স্ত্রী ছবি আক্তার বলেন, ‘মোতাহার মৃধা, কুদ্দুস ও ঠান্ডা বাহিনীর ২০-২৫ জন সন্ত্রসী রামদা, ছেনা, টেঁটা, চল নিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢুকে পনু আকনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। সন্ত্রাসীরা আমার স্বামী পনু আকনকে কমপক্ষে ৫০টি কোপ দেয়। আমাকে ও আমার ছেলেকে পিটিয়ে জখম করে। আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।’

অপরদিকে আহত ঠান্ডার মামা মশিউর রহমান বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে পনু ও তার ছেলে আমার ভাগ্নে ঠান্ডাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। আমি ভাগ্নেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বরিশাল এসেছি। আমাদের পক্ষের তিনজনের অবস্থা গুরুতর। পরে সেখানে কি ঘটেছে আমি জানি না।’

ফেসবুক স্টোরিতে অস্ত্রের ছবি পোস্ট দেয়ার বিষয়ে নিহত পনুর ছেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, 'এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দশজনকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।'

এ ব্যাপারে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  

ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের প্রকোপে ইতোমধ্যে কাঁপতে শুরু করেছে পুরো দেশ। ধেয়ে আসছে শীতের হিমেল হাওয়া। আগামী সপ্তাহজুড়েই শৈত্যপ্রবাহ চলতে বারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না-ও পাওয়া যেতে পারে। ফলে শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে।

আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি হতে পারে চলতি মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় পর্বতের কাশ্মীর এলাকা থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসছে। এই হিমেল বাতাসের প্রবাহ ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো পেরিয়ে পূর্ব দিকে আসছে। আজ সকাল থেকে তা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হতে পারে।

শৈত্যপ্রবাহটি রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। ফলে উত্তরাঞ্চল ছাড়াও যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে শুরু করে কুষ্টিয়া পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগেও শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর

ছবিঃ সংগৃহীত

সাত দিনের মধ্যে দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশ। আর গত ৯০ দিনে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।

বিশ্বে ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় আছে ঢাকা। বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবুও কোনো সরকারই এ দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট-বড় মাত্রার এসব ভূমিকম্প সামনের বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। আর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ভূমিকম্পে তিব্বতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতও কেঁপে ওঠে। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে প্রায়ই এই অঞ্চল কম্পিত হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশটিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে। এ ছাড়াও দুর্যোগ সূচকে বিশ্বের ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সবশেষ বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে ১৯১৮ সাল। এর কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মধ্যে এবং যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। গত ৭৫ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি, ফলে শিগগিরই একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট গেছে। গত শত শত বছর এসব প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ফলে এই প্লেটে সঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের শক্তি। হঠাৎই এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে লাখ লাখ প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে ঢাকা। বুয়েট ও সরকারের একটি যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘৭ মাত্রার ভূমিকম্প যদি সীমান্ত এলাকায় হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে কারণ ঢাকার ভবনগুলো বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমাদের দেশের আশপাশ দিয়ে তিনটি টেকটোনিক প্লেট গেছে। যেগুলোর সংযোগস্থল সীমান্তের আশপাশে। আমাদের অবস্থান ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে, আমাদের উত্তরে হিমালয় পড়েছে ইউরেশিয়ান প্লেটে আর আমাদের পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। সবগুরো প্লেটই আমাদের কানেক্টেড এবং সক্রিয়। এগুলোর মুভমেন্ট আছে। প্লেটগুলো প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার মুভমেন্ট করে। অর্থাৎ, আমার প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুভমেন্ট করছি। একইভাবে পুরো পৃথিবীও মুভ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে শুধু ইক্যুইপমেন্টস আছে। শুধু ইক্যুইপমেন্টস দিয়ে হবে না। কারণ, ভবন মেরামত না করলে ভবন চাপা পড়ে মানুষ মারা যাবেই। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের অপরিকল্পিত লাইন ঢাকা শহরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।’

Header Ad
Header Ad

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে

বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  

ছবিঃ সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে দু’দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এরই মধ‍্যে সোম ও মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফের দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তারা। উভয় বাহিনী সীমান্তে বতর্মানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নিজেদের টহল কার্যক্রম বাড়িয়েছে বিজিবি।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিজিবির-৫৯ ব্যাটালিয়নের চৌকা বিওপির অধীনস্থ পিলার নম্বর ১৭৭ এর ১ এস, ২ এস ও ৩ এস এলাকার বিপরীতে ভারতীয় অংশে সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের কাজ করতে দেখা যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিজিবি, বাড়িয়েছে নিজেদের টহল।

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।

৫৯ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ঠিক রাস্তা নির্মাণ নয়, রাস্তা নির্মাণের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছিল। সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানান, ভারতের পক্ষ থেকে তাদের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরাও আমাদের সীমান্তে এলাকায় বিজিবি মোতায়েন রেখেছি। সাধারণ মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই।

এদিকে সীমান্তে বাংলাদেশের ভূমি রক্ষায় স্থানীয় বাংলাদেশিরা ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং বিএসএফের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে বিজিবির সঙ্গে তারাও দিনব‍্যাপী সীমান্তে অবস্থান নেন। একইভাবে বিএসএফের সঙ্গে ভারতের নাগরিকদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং বিজিবির সেক্টর কমান্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরও অবস্থান করছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল  
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক  
মেটা প্ল্যাটফর্মে থাকছে না ফ্যাক্টচেকার, বাড়বে রাজনৈতিক কনটেন্ট: জাকারবার্গ  
হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  
ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টায় সাগরে প্রাণ গেলো ২,২০০ অভিবাসীর  
ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করল সরকার  
ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করতে কমিশন ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক বুধবার
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৯৮ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ
এবার শাহীনকে ধরা হলো বিমানবন্দরে! আদালতে সোপর্দ
হৃদয়-মেয়ার্সের জুটিতে বরিশালের সহজ জয়
‘ফিরোজা’ থেকে বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে তাঁদের দেশকে দেখতে চান: ট্রাম্প
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
পাঁচদশক আড়ালে থাকা মেজর ডালিম বাংলাদেশে ফিরছেন!
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চান প্রধান বিচারপতি
আবারও বাড়বে শীতের দাপট, ঘন কুয়াশার সঙ্গে থাকবে ঠাণ্ডা বাতাস