রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আম ক্যালেন্ডারে আর্থিক ক্ষতির দাবি সাতক্ষীরার চাষী-ব্যবসায়ীদের

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি অফিসের সমন্বয়ে প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের কারণে পথে বসতে শুরু করেছে প্রান্তিক পর্যায়ের আম চাষীরা। গেল দুই বছরের ব্যবধানে চলতি বছর গোবিন্দভোগ ও আম্রপালি প্রজাতির আম ভাঙতে পেছানো হয়েছে ১০/১১ দিন। ২০২১ সালে ২ মে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার অনুমতি দেওয়া হলেও দুই বছরের ব্যবধানে এই আম ভাঙতে ১০দিন বৃদ্ধি করে ১২ মে করেছে জেলা প্রশাসন। আর আম্রপালি আম ভাঙতে ১১ দিন বৃদ্ধি করে ৪ জুনের পরিবর্তে করা হয়েছে ১৫ জুন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করেছেন ১৩ হাজার ১০০ চাষি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৫ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৭০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮৩৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরে ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

এ জন্য গত ১৬ এপ্রিল সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ১২ মে থেকে সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপঘাস, বৈশাখীসহ আরও কয়েকটি প্রজাতির আম, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি ভাঙার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

অথচ আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয় না। আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধামতো গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন সেখানকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। সেখানে সাতক্ষীরার মতো আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিসংগত? জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী? সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

আম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভৌগলিক কারণে দেশে প্রথম আম পাকে সাতক্ষীরায়। সেখানে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানোর কারণে প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এ জন্য আম ক্যালেন্ডার বাতিল করে জনসচেতনতা ও বাজার মনিটরিংয়ের উপরে গুরুত্ব দিতে জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তারা।

তবে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডার নামমাত্র করা। নির্ধারিত তারিখের আগে যদি কোনো বাগানে আম পাকে তা হলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন তারা।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আম ব্যবসায়ী সুফিয়ান জানান, প্রতি বছর প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের কারণে প্রতি বছর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে গেল কয়েক বছরের চেয়ে এবার ক্ষতির পরিমাণটা অনেকাংশে বেশি বলে জানান তিনি।

শফিকুল ইসলাম নামে অপর এক আম ব্যবসায়ী জানান, কয়েক লাখ টাকা দিয়ে এবার ৪০টি আম বাগান কিনেছেন তিনি। এর ভিতরে ৫টা বাগানের গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম পাকলেও ভাঙতে পারছেন না। এতে করে আর্থিকভাবে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এই আম ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের হাতে জেলা প্রশাসন থেকে একটা লিফলেট দেওয়া হয়। সেখানে ১২ মে থেকে গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি ভাঙার জন্য বলা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্ধারিত তারিখের আগে আম পাকলে করণীয় কী সেই সম্পর্কিত বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দেওয়া ওই লিফলেটে কোনো কিছু লেখা ছিল না। তবে কৃষি বিভাগ যদি বলে থাকে আমাদেরকে আম পাকা সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনার লিফলেট দিয়েছে তাহলে সেটা তাদের ভুল হবে।

সুফিয়ান-শফিকুলের মতো একাধিক আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আম ক্যালেন্ডার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১২ মে থেকে গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। তবে ওই তারিখে অধিকাংশ বাগানে হিমসাগর আম পাকবে। আর গোবিন্দভোগ প্রজাতির অধিকাংশ আমের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এভাবে আম ক্যালেন্ডার করে চাষী-ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার অধিকার কী কারও আছে? বলে প্রশ্ন রাখেন তারা।

এ সময় তারা আরও বলেন, এভাবে আম ক্যালেন্ডার না করে প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং করা। তৃণমূলের চাষীদের সাথে মতবিনিময় ও জনসচেতনতা করা।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দেশের অধিকাংশ জায়গায় আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ না করা হলেও সাতক্ষীরায় প্রকাশ করা হয়। একমাত্র ল্যাংড়া আম ব্যতিত প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয় এই জেলাতে। এতে করে দুর্যোগ কবলিত এই অঞ্চলের আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হন। গেল কয়েক বছরের ব্যবধানে এবার বিভিন্ন প্রজাতির আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয়েছে ১০/১১ দিন। এতে করে সাতক্ষীরা থেকে প্রতি বছর যে আম ইউরোপের বাজারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো এবার বিশ্ব বাজারে সেই আম রপ্তানিতে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার আম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন এজেন্ট। কেননা, আম ভাঙ্গার যে ক্যালেন্ডার জেলা প্রশাসন প্রকাশ করেছে সেই সময়ে দেশের অন্যান্য জায়গার আমে পাক ধরে। আর সাতক্ষীরার চেয়ে বাজার দর কম ও পরিবহন খরচ কম হওয়াতে ওই সমস্ত এলাকায় ঝুঁকছেন এজেন্টরা। এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাতক্ষীরার আম চাষীরা।

অথচ আমের আতুরঘর হিসেবে পরিচিত চাপাইনবাবগঞ্জে ২০২১ সাল থেকে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে না সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। এই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। চাষকৃত ওই আম কেউ যাতে অপরিপক্ব অবস্থায় ভাঙতে বা বাজারজাত করতে না পারে সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করলেও তারা কোনো প্রকার আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করিনি। মূলত, আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা।

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ. কে. এম গালিভ খান বলেন, একটা সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হতো। এতে (আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করলে) চাষী-ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়। এ কারণে, গেল কয়েক বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয় না। বাগানে আম পাকলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধামতো বাজারজাত করেন। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ তাদেরকে সহযোগিতা করেন। তবে কেউ যাতে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে না পারেন এ জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ নিয়মিত আমবাগানসহ বাজার মনিটরিং করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ (খামারবাড়ি) অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আম ক্যালেন্ডারের কারণে কোনো চাষী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।'

‘চাষী-ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্ধারিত তারিখের আগে যদি কোনো বাগানে আম পাকে তাহলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন।’

‘ভৌগলিক কারণে সাতক্ষীরার আম আগাম পাকে অথচ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয় অথচ চাপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার হয় না তাহলে সাতক্ষীরাতে কেন?’-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আম ক্যালেন্ডারটি না করলে নই বলে করা। মূলত জেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা অপরিপক্ব অবস্থায় আম ভেঙে বাজারজাত করে। এ কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে আম ভাঙার একটি প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে না পারে।'

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা

ইসরায়েলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদত। ছবি: সংগৃহীত

ডিজনির নতুন চলচ্চিত্র ‘স্নো হোয়াইট’ লেবাননে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছবিটিতে ইসরায়েলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাদতের অভিনয় করায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ আল-হাজ্জার সিনেমাটি নিষিদ্ধের সরাসরি নির্দেশ দেন। দেশটির চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ সংস্থাও গ্যাদতের উপস্থিতির কারণে সিনেমাটি নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছিল বলে উল্লেখ করেছে লেবাননের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক আন-নাহার এবং মার্কিন বিনোদনমাধ্যম ডেডলাইন।

ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি হামলা এবং গ্যাল গ্যাদতের প্রকাশ্য ইসরায়েল-সমর্থনের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈরুতভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিবেশনা সংস্থা ইতালিয়ান ফিল্মস জানিয়েছে, গ্যাল গ্যাদতের নাম আগেই লেবাননের ‘ইসরায়েল বয়কট তালিকা’-তে যুক্ত ছিল। ফলে তার অভিনীত কোনো ছবি লেবাননে মুক্তি পায় না। ‘স্নো হোয়াইট’ও এর ব্যতিক্রম নয়।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ডিজনি ঘোষণা দেয়, লাতিন বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী রেচেল জেগলার ‘স্নো হোয়াইট’ চরিত্রে অভিনয় করবেন। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুক্তির আগেই বিতর্কের মুখে পড়ে সিনেমাটি, যার কারণে ডিজনি প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানও সীমিত করে।

উল্লেখ্য, ‘স্নো হোয়াইট’ রূপকথাটি প্রথমবার সিনেমার রূপ পায় ১৯০২ সালে নির্বাক সংস্করণে। এরপর এটি একাধিকবার সবাক, অ্যানিমেটেড ও লাইভ-অ্যাকশন হিসেবে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু
দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়লো