হাওরে একসঙ্গে ধান কাটলেন তিন মন্ত্রী
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বোরো ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করলেন তিন মন্ত্রী। এসময় তারা একসঙ্গে ধান কাটেন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডেকার হাওরে এই ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে হাওরে ধানের চাষাবাদ করে। কিন্তু আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার আগেই তলিয়ে যায়। এই বছর হাওরে এসে খুব ভালো লাগছে বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখে। ইতোমধ্যে হাওরের ৩০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আমরা আজকে ধান কাটা উৎসবে এসেছি এবং এই বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা থেকে কৃষকরা অনেক লাভবান হবে।
তিনি বলেন, যে বছর হাওরের ধান হয় সেই বছর সারা দেশের মানুষ হাওরের এই ধান খেতে পারে। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায় সেই বছর সারা দেশে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এ বছর বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরে ধান কাটছে তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জলাভূমি হাওরে আর কোনো সড়ক নির্মাণ করা হবে না, উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে, যেটির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরের ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়, প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় যদি ১০০ দিন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি এতে আমরা সফল হব। এমনকি আগাম বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম প্রমুখ।
এসজি