আবাসিক হোটেলে নারীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার 'হাওর প্যারাডাইজ হোটেল' নামক আবাসিক হোটেলে নারীর খুনের মূল রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ওই নারীর কথিত প্রেমিক হুমায়ুন (২৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে কিশোরগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন কথিত প্রেমিক হুমায়ুন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়েছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, কটিয়াদী উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে হুমায়ুন (২৯) ও একই উপজেলার চরকাউনা এলাকার মোতালিব হোসেনের স্ত্রী তামান্না (২২) গত ২৫ মার্চ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলী সদরের শিমুল কমপ্লেক্স ভবনের 'হাওর প্যারাডাইস' নামের আবাসিক হোটেলে ৬০৯ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন।
বিবাহিত হুমায়ুন কুলিয়ারচরের পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করতেন। তামান্না কুলিয়ারচরের পশ্চিম জগৎচর গ্রামের অহিদ মিয়ার মেয়ে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার সূত্র ধরেই হুমায়ুন তার নিজের স্ত্রীর কাছে মেলায় যাওয়ার কথা বলে তামান্নাকে নিয়ে নিকলীর ওই হোটেলে উঠেছিল।
হোটেল কর্মী শায়লা আক্তার ও হুমায়ুন বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরের আগে তামান্নাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় পান। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমায়ুনকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় তামান্নার বাবা অহিদ মিয়া বাদী হয়ে হুমায়ুনকে আসামি করে বুধবার রাতেই নিকলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিকলী থানার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মনসুর আরিফ জানান, গতকাল হুমায়ুনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি বিচারকের কাছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তামান্নাকে হত্যার বিবরণ দিয়েছেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এএজেড
