মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘কলেজটিকে বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করেন অধ্যক্ষ’

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সিংসাড়া কছির উদ্দিন দেওয়ান মেমোরিয়াল হাইস্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্য, সভাপতির জাল স্বাক্ষর, শিক্ষক-কর্মচারীদের হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়,লুটপাটসহ বিভিন্ন খাতের ফি বৃদ্ধি করে সেই অর্থ আত্মসাৎ,খাতা, কলম, কাগজ, ভবন নির্মাণ ও সংস্কার, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িত কলেজটির অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম রতন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের আয়োজনে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে ওই কলেজ মাঠে সুধী সমাবেশ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডহক কমিটির প্রধান মারিয়া সালামের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আত্রাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান এবাদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সাবেক সভাপতি দেওয়ান মেহেদী হাসান তমাল প্রমূখ।

সমাবেশে শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম রতন সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। আর আসলেও তার ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে দ্রুত চলে যান। কলেজটিকে বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করেন অধ্যক্ষ। তার ইচ্ছা মতো প্রতিষ্ঠানের বেতন বৃদ্ধি এবং ফি আদায় করেন।

মাধ্যমিক স্তরের বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রী জানায়,তাদের অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রশ্নপত্র কিনে নিয়ে এসে পরিক্ষা নেন। তাদেরকে যা পড়ানো হয়েছে প্রশ্নপত্রে তা কমন ছিল না। বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানালে ‘তিনি বলেন,পারলে পরীক্ষা দাও না পারলে চলে যাও’।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবাদুর রহমান বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত নানা অনিয়মের অভিযোগ শুনে আসছি। আমরা চাই, এসব অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তাকে অপসারণ করা হোক। এ রকম ব্যক্তির দ্বারা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতে পারে না। এই স্কুলের সুনাম ফিরিয়ে আনতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ হাতে নিব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম উনি নিজের সুবিধা হাসিলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে রেখেছেন। জনাব ইউনুস আলী দেওয়ান এবং তার ভাই মহসিন আলী দেওয়ান স্থানীয়দের সহায়তায় এই গ্রামে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেছিলেন এবং উনাদের জীবদ্দশায় এই প্রতিষ্ঠান এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে অত্যন্ত সুনাম অর্জন করে। পরবর্তীতে এই অধ্যক্ষ এবং তার শিক্ষকদের অবহেলায় এটি তার গৌরব হারিয়েছে। স্কুলে শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নাই। আমরা বুঝেছি এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এই অবস্থায় আপনারা এলাকাবাসী এবং অবিভাবকরা শক্ত অবস্থান নিন এবং যথাযথ দাপ্তরিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্বের গৌরবময় অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

এ প্রসঙ্গে স্কুলটি প্রতিষ্ঠায় অন্যতম উদ্যোগী এবং স্থানীয় শিক্ষানুরাগী খয়বর খান বলেন, এই স্কুলের প্রথম অনুদান আমি সুপারিশ করে এনে দিয়েছিলাম। আমাদের রক্তে মাংসে গড়া এই প্রতিষ্ঠানে যখন দেখি একটা বা দুইটা ক্লাস করেই শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যাচ্ছে, কোনো অনুশাসন নাই তখন কষ্টে মন ভেঙে যায়। সরকারের টাকা নিয়ে দায়িত্ব পালন না করাটাও একটা দুর্নীতি। এ রকম দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের হাতে আমাদের সন্তানরা কতটা নিরাপদ? আমরা এসবের বিহিত চাই এবং এই অযোগ্য অধ্যক্ষের হাত থেকে মুক্তি চাই।

এ বিষয়ে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি দেওয়ান মেহেদী হাসান তমাল জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ আছে। আমি করোনাকালীন সভাপতি ছিলাম বিধায় পাঠদানের পরিবেশ নিয়ে কোনো অনিয়ম লক্ষ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমি মৌখিকভাবে বহুবার উনাকে সতর্ক করে কোনো ফল পাইনি। এক পর্যায়ে আমি বেতন বিলে সাক্ষর করা বন্ধ করে দিলে উনি আমার সাক্ষর জাল করে বেতন তুলেন।

তিনি আরও জানান, এর আগেও পূর্বের সভাপতির সাক্ষর জাল করে নিয়োগ দেওয়ায় উনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেই মামলায় উনি প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন, বর্তমানে সেই মামলা চলমান। এ রকম শিক্ষকের কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা কি শিখবে? আমাদের প্রতিষ্ঠানে এ রকম শিক্ষক আমরা চাই না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মারিয়া সালাম জানান, নিজেই ইচ্ছে মতো সব কিছু করতে চান অধ্যক্ষ। আমি তাকে স্কুলের পরিবেশ ভালো করতে অনুরোধ করায় উনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন এবং আমার নামে নানারুপ নোঙরা কথা ছড়াতে থাকেন। একজন অধ্যক্ষের এ রকম আচরণ মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। উপরন্তু উনি প্রতিষ্ঠানে চলমান দুর্নীতি গোপন করতে আমাকে আমার দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করতে বিভিন্ন অবৈধ পন্থা হাতে নিয়েছেন। আর দুর্নীতি গোপন করার কৌশল উদ্ভাবনের পেছনে সময় দিতে গিয়ে উনি ও উনার শিক্ষকমণ্ডলী পাঠদানে সময় দিতে পারছেন না। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর একটা সমাধান প্রয়োজন।

তিনি আরও জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী বরাবর একটি আবেদন জমা দিয়েছি। দ্রুতই চুড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দিব আমরা।

এদিকে স্কুলের সাবেক এক শিক্ষকের ছেলে সুমনের অভিযোগ, তার পিতার পদে তাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অধ্যক্ষ রতন ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও তার চাকরি হয়নি। এ ব্যাপারে সে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ইতিমধ্যে অভিযোগ জানিয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, প্রতিষ্ঠানটি আজ এর ঐতিহ্য আর ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার পরিবেশ হারিয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার পাশাপাশি অশ্লীল কাজে বেশি লিপ্ত হয়ে পড়েছে।

এক অবিভাবক আক্ষেপ করে বলেন, আজ এই স্কুলের নাম হয়েছে প্রেমের স্কুল। আমরা আমাদের মেয়েদের এখানে পড়াতে চাচ্ছি না সম্মানের ভয়ে।

আর অধ্যক্ষ রতন নিজেই যেখানে তার ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন সে প্রতিষ্ঠানের নৈতিক পরিবেশ কেমন হতে পারে-এই প্রশ্ন করেছেন অনেকেই।

জানা যায়, কারো অবর্তমানে ক্লাস নিতে গেলে অধ্যক্ষ তার লাইফ হিস্ট্রি, তিনি কতটা প্রেম করেছেন, কিভাবে বিয়ে করেছেন-এসব আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম রতন বলেন, আমার বিষয়ে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে লিখিত কোনো অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, আমি এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে হিজবুত তাওহীদের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের সময় হিজবুত তাওহীদের অফিস সহ চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দুই কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ সিদাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, হিজবুত তাওহীদের প্রায় ৪০ জন কর্মী সেখানে একটি গোপন বৈঠক করছিল। বৈঠকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং মুহূর্তেই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে হিজবুত তাওহীদের চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় ও আরও দুই কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহত চারজনকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাওহীদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।

আটকদের স্বজনরা দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন বলেন, “হিজবুত তাওহীদের একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেই সমাবেশ ঘিরেই এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় ও সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

সস্প্রতি ম্যাটস ও ডিএমএফ ইস্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতৃক গৃহিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে ও পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। 

গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ চত্বর থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সামনে এই মশাল মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মেডিকেলে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক পদবী ব্যবহার নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে এলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে, কিন্তু এসএসসি পাস করে ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক সেজে বসে রয়েছে। এসব নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে।

বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে একটি যৌক্তিক ও মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া চিকিৎসকের স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধসহ ৫ দফা দাবি স্বাস্থ্যখাতে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে, ঠিক তেমনি রোগী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। তাই সারা বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে একমত হয়ে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি গুলো হচ্ছে-
১। এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

২। উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্যা কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩। স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে এবং চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪। সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবী রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের যোগসূত্রে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। এমন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ কথা জানান তিনি।

ফখরুল বলেন, এ দিনটি সেনাবাহিনীর জন্য কালো দিন। সেনাবাহিনীর শত্রুরা সেদিন ৫৭ জন চৌকস সেনাকে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া।

তিনি বলেন, এ দিনটাকে জাতীয় দিবস করায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। নিহত সেনা সদস্যদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতা-ওড়িশায় ভূমিকম্প, অনুভূত হলো ঢাকাতেও
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না হলে ঈদের পরে আন্দোলন: বিএনপি নেতা হারুন
জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!