‘প্রধানমন্ত্রীর কারণে অবহেলিত হাওর এত উন্নত’
হাওরে শুকনো মৌসুমে যতদূর দৃষ্টি যায় বিস্তীর্ণ দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ আর ভরা বর্ষা মৌসুমে অথৈ জলরাশির সৌন্দর্য নজর কাড়ে সবার। ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলা নিয়ে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল বিস্তৃত। কিশোরগঞ্জ সদরের সঙ্গে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম হাওরের সংযোগ সড়কের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখানকার হাওরের উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এক সময়ের অবহেলিত হাওর এখন পর্যটকদের অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা হয়েছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ,বিদ্যুৎ,চিকিৎসা, শিক্ষায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে হাওর।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আসবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং কামালপুর নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। শুক্রবার (৩ মার্চ) পর্যন্ত নিজ জেলায় তিনি অবস্থান করবেন। এরপর মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে হাওরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
আরও জানা গেছে,সফরে প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন। তারপর মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে জনসভার উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এ ব্যাপারে এক ভিডিও বার্তায় কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক বলেন,‘সর্বপ্রথম ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল মিঠামঈন এসেছিলেন। হেলিকপ্টারযোগে যখন প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন আমরা হেলিকপ্টার কোথায় নামাব সেই জায়গা পাচ্ছিলাম না। ভরা বর্ষাকাল ছিল তৎকালীন সময়ে। আমরা ঠিক করলাম হাসপাতালের যে বাগান আছে সেখানে হেলিকপ্টার নামাবো। তখন বাগানের সব গাছ কেটে হাসপাতালের মাঠে রিস্ক নিয়ে হেলিকপ্টার নেমেছিল।
তিনি বলেন, সুদীর্ঘ বছর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি আবারও ওনি হাওরে আসবেন। আমার বিশ্বাস, জননেত্রী নিজের চোখেই হাওরাঞ্চলের পরিবর্তনটা দেখতে পারবেন। ৯৮ সনে আমরা কিশোরগঞ্জ শহর থেকে নতুন দুইটা রিকশা বানিয়ে এনেছিলাম ওনাকে বহন করার জন্য । হেলিকপ্টার থেকে সভা মঞ্চ ও অনুষ্ঠান ভেন্যুতে নেওয়ার জন্য। আজকে আমরা বলতে পারি ওনার কারণেই আজকের অবহেলিত হাওর এত উন্নত হয়েছে। হাওরের পরিবর্তন দেখে প্রধানমন্ত্রী নিজেই অভিভূত হয়ে যাবেন।
এসআইএইচ