শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্ট্যাম্পে লিখে মহাসড়ক বিক্রি করলেন হকার্স লীগ নেতা

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যেখানে মহাসড়কের সীমানা হতে ১০ মিটারের মধ্যে হাটবাজার ও বানিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা নিষেধ। সেখানে খোদ মহাসড়কের ওপর দোকান গড়ে তা স্ট্যাম্পে লিখে দানপত্র করে প্রতারণার মাধ্যমে মহাসড়কের দোকানের মালিকানা হস্তান্তর করেছেন সাভারের এক হকার নেতা। স্ট্যাম্পে দান পত্র লিখলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতারণার শিকার একাধিক ভুক্তভোগী।

মহাসড়ক বিক্রির মত এমন এলাহী কান্ড ঘটিয়েছেন সম্প্রতি মনোনীত সাভার উপজেলা হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কাদের মোল্লা। তিনি লালমনিরহাট জেলার মৃত গনি মোল্লার ছেলে এবং সাভার পৌরসভার স্মরণিকা এলাকার নূর মোহাম্মদের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

স্ট্যাম্পে লিখে মহাসড়ক বিক্রির এমন অবাক কান্ড সবাইকে হতবাক করেছে। শুধু বিক্রি করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। নিচ্ছেন দৈনিক ভাড়া ও মাসিক হারে চাঁদাও। আবার ছয় মাস পর পর তা রিনিউ করতে হয়, না হলে পুরাতন ব্যাক্তিকে উঠিয়ে বসানো হয় নতুন কাউকে। এভাবেই চলছে তার মহাসড়ক বিক্রির মহোৎসব।

অভিযোগ আছে, সাভারের বৃহৎ ফুটপাত চক্রের হোতা আব্দুল কাদের মোল্লা স্থানীয় এক কাউন্সিলর, সাভারের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট অফিসার, হাইওয়ে ও থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ হকারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে নিজেই ভোগ করেন।

সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের ঢাকা আরিচা মহাসড়কের দ্বি-মুখী ফুটপাত জমি বিক্রয়ের মত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে মালিকানা হস্তান্তর করে ভাড়া দিয়ে প্রায় ৪ শতাধিক হকার দোকানির কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা এক কালীন আদায় করেছেন। যা তাদের দানপত্রের ভিতরে টাকার অংক উল্লেখ করা হয়নি। এটাই তার দানপত্রের কৌশল বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।

বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায় কর্মযজ্ঞ পরিচালনায় কাদের মোল্লার রয়েছে একটি প্রশিক্ষিত বাহিনী। এই দলের অন্যতম সদস্যরা হলেন- জহির, রমজান, পাবেল ওরফে তোতলা পাভেল, আনোয়ার, সুশান্ত, কালা শরীফ, জিয়া, ধলা শরীফ, জুয়েল, ইসরাফিল ও মানিক।

কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল কাদের মোল্লা সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার অনেক হকারকে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন পাতার স্ট্যাম্পে লিখে দান পত্র করে দিয়েছেন। স্ট্যাম্পে দান পত্র লিখলেও টাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি। উল্লেখ করা হয়নি দৈনিক হারে নেওয়া লাইনম্যানের বেতনের খরচ বাবদ ৫০ টাকা, পল্লীবিদ্যুতের লাইট খরচ বাবদ ৩০ টাকা, হকার নেতা ও প্রশাসন খরচ বাবদ ১০০ টাকা সহ সর্বমোট ১৮০ টাকা এবং ছয় মাস পর পর রিনিউ করার কথাও।

স্ট্যাম্পে দানপত্র নিয়ে প্রতারণার শিকার মোঃ বুলবুল ঢাকা প্রকাশকে বলেন, আমি পেশায় একজন হকার ব্যবসায়ী। গতবছর (২০২২ সালে) মার্চ মাসে সাভারের হকার সিন্ডিকেট নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার কাছ থেকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাজ্জাক মাছ বাজারের সামনে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের 'সাড়ে তিন হাত' ফুটপাত দোকান আমার বড় ভাই মোঃ সুমনের নামে ক্রয় করি। যা তিনশো টাকার স্ট্যাম্পে অত্যান্ত চতুরতার সাথে টাকার অংক উল্লেখ না করে ফুটপাতের দোকানের মালিকানা হস্তান্তর করেন আব্দুল কাদের মোল্লা।

দোকান নেওয়ার পর নিয়মিত লাইনম্যানের বেতনের খরচ বাবদ ৫০ টাকা, পল্লীবিদ্যুতের লাইট খরচ বাবদ ৩০ টাকা, হকার নেতা ও প্রশাসন খরচ বাবাদ ১০০টাকা সহ সর্বমোট ১৮০ টাকা করে প্রদান করে আসছি । কিন্তু ছয়মাস পরে হঠাৎ করে সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে আবারও এককালীন টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আমাদের দোকান বন্ধ করে দেয় আব্দুল কাদের মোল্লা। পরে দোকান রিনিউ করার জন্য তার ছেলে জহিরুল ইসলামের শরণাপন্ন হয়ে তাঁর নিকট ২০ হাজার টাকা দেই। পরে দোকান খুলতে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবার রিনিউ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বর্তমানে আমার ব্যাবসায়িক অবস্থা ভালো না হওয়ায় তাদেরকে টাকা না দেওয়ায় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গত ১২ ফেব্রয়ারী আমি প্রতিদিনের ন্যায় দোকান খুলতে গেলে আব্দুল কাদের মোলার নেতৃত্বে জুয়েল ও কাজল সহ অজ্ঞাত ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী মিলে আমাকে মারধর করে আমার মালামাল তাদের অফিসে নিয়ে যায়। এরপর থেকে কোনো ভাবেই আমার দোকান করতে পারছি না। আমি দোকান করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করছে। প্রাণের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি অনেক অসহায় জীবন যাপন করছি।

অন্য আরেক ভুক্তভোগী শাহিন শেখ ঢাকা প্রকাশকে বলেন, আমি দুই বছর আগে রাজধানীর গুলিস্থান থেকে পাইকারি জামা-কাপড় এনে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাতে খুচরা বিক্রি শুরু করি। সেখানে প্রথম দিনেই আমার দোকান তুলে দেয় আব্দুল কাদের মোল্লার লোকজন। পরে কাদের মোল্লা আমাকে তার অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন। সেখানে দেখা করতে গেলে তিনি ফুটপাতে দোকান করতে বিভিন্ন দ্প্তর ও প্রশাসনের খরচ বাবদ একটি চার্ট ধরিয়ে দেন।

পরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এককালীন, মাসিক ও দৈনিক চাঁদা দাবি করে। পরে ফুটপাতের জায়গা দলিল করার জন্য ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমি তাকে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করতে বাধ্য হই। এবং তাদের দেওয়া চাট অনুযায়ী লাইনম্যানের বেতনের খরচ বাবদ ৫০ টাকা, পল্লীবিদ্যুতের লাইট খরচ বাবদ ৩০ টাকা, হকার নেতা ও প্রশাসন খরচ বাবদ ১০০টাকা সহ সর্বমোট ১৮০ টাকা করে প্রদান করতে থাকি।

এভাবে ছয়মাস পর পর দোকান ভেঙ্গে দিয়ে নতুন জায়গায় দোকান বরাদ্দের কথা বলে ৩০ হাজার টাকা করে দিতে বাধ্য করেন। কিন্তু অন্যান্য হকারদের স্ট্যাম্প দিলেও আমাকে দেয়না। পরে আমি স্ট্যাম্পের কথা বললে দিবে দিবে করে ঘুড়াতে থাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে হকার সমবায় সমিতি লিঃ এর নাম করে কাদের মোল্লা ও তার লোকজন মিলে প্রত্যেক হকারের নিকট হতে ৬০ হাজার টাকা করে নিয়ে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছেন এবংকি এখানকার অনেক রাজনৈতিক নেতার কর্মীকেও এই দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কথা হচ্ছে। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমার দোকান উঠিয়ে দিয়ে সেখানে অন্য একজনের দোকান বসিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে আমি থানায় অভিযোগ করলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর থেকে কাদের মোল্লা ও তার রোকজন মিলে অনবরত আমাকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান কালে কাদের মোল্লার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম সদস্য লাইনম্যান জুয়েল আমাকে কিল ঘুষি ও থাপ্পর মেরে স্থান ত্যাগ করতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ভয়ে আমি দ্রুত স্থান ত্যাগ করে সাভার মডেল থানায় গিয়ে আবারও অভিযোগ দায়ের করি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল কাদের মোল্লা ঢাকা প্রকাশকে বলেন, আমি স্ট্যাম্পে চুক্তি করে দোকানের মালিকানা হস্তান্তর করেছি। কিন্তু আমি কোন টাকা নেইনি। আর ওখান থেকে আমি কোন প্রকার চাঁদা তুলি না। সরকারি জায়গা স্ট্যাম্পে চুক্তি করে মালিকানা হস্তান্তর করতে আপনি পারেন কিনা, এমন প্রশ্নের তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: হারুন অর রশিদ ঢাকা প্রকাশকে বলেন, আমরা অনেকবার অভিযান চালিয়েছি। ওরা আসলে সরাসরি বৈদ্যুতিক তার থেকে হুক লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয় না। কাছাকাছি মার্কেটের মিটার থেকে সংযোগ দেয়। আমরা অভিযান চালিয়ে কয়েকবার সেইসব লাইন কেটে দিয়েছি।

মিটার থেকে লাইন নিলেও তো সেটা অবৈধ, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে ফুটপাতে দোকান বসাই তো অবৈধ। প্রশাসন যদি ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ করে দেয় তাহলে তো লাইটের দরকার হয় না। তাই আমিও ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

স্ট্যাম্পে লিখে সড়ক বিক্রির ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের কল্যাণপুর উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: মারুফ হাসান বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা নেই, এ কথা আমি প্রথম শুনলাম। আমি তো স্ট্যাম্পের লিখা দেখে অনেকটা অবাক হয়েছি। এই সড়কের দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমি নিজে চারবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু ভ্রাম্যমান দোকান গুলো অভিযানের দুইদিন পরে তারা আবার বসে পরে। যার ফলে আমাদের অভিযান সফল হয় না।

তিনি আরও বলেন, সরকারি মহাসড়কের মধ্যে যদি কোনো ধরনের স্থাপনা তৈরী করা হয়, তা আসলে সম্পূর্ণ অবৈধ। আমি অতিদ্রুত বিষয়টি তদন্তের জন্য লোক পাঠাবো। স্ট্যাম্পে এই জায়গাটা আমাদের মহাসড়কের সাথে সর্ম্পকৃত কিনা। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক ঢাকা প্রকাশকে বলেন, ওটা থানা পুলিশ দেখে। একবার আমরা অভিযান চালাতে গিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তারপর থেকে আমরা আর একা অভিযান চালাই না। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে অভিযান চালাই।

হাইওয়ে থানা পুলিশের নামে চাঁদা তোলা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরকম কোন কিছুর সাথে আমি বা আমরা যুক্ত নই। ওইদিকে আমরা যাই না। আব্দুল কাদের মোল্লার চাঁদাবাজির ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এমন চাঁদাবাজির কোন সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেওয়া হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা

ছবি: সংগৃহীত

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৬ অথবা ২৭ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল। এই দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দল ঘোষণার আগে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন বাহিনীর সাবেক কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

নতুন দল ঘোষণা নিয়ে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের দায়িত্ব নেয়ায় জোড়ালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দলের সদস্যসচিব পদ নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে আলোচনার ভিত্তিতে দলের শীর্ষ চারটি পদ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পদগুলোতে কারা থাকছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে আরও দুটি পদের বিষয়েও প্রস্তাব এসেছে।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্যাম্পেইন চালায় সংগঠনটি। এরপর ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি জনমত জরিপও চালালো হয়। সেখানে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম, লোগোসহ বিভিন্ন মতামত জানতে চাওয়া হয়। এদিকে নয়া রাজনৈতিক দলের নাম ইংরেজীতে হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি  
ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা, দায় স্বীকার করলো চরমপন্থী সংগঠন