টঙ্গী-জয়দেবপুর ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু
টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রেলপথে ডাবল লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি টঙ্গী-জয়দেবপুর ডাবল লাইন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘বর্তমান সরকার বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য ৩০ বছরের একটি মাস্টার প্ল্যান হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ৬৫০ কিলোমিটার রেললাইন আমরা নির্মাণ করেছি। ২৮০ কিলোমিটার মিটারগেজ লাইনকে ডাবল লেন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১ হাজার ২৯৭ কিলোমিটার রেললাইন পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ১২৬টি নতুন রেলস্টেশন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ২২৩টি রেলস্টেশন ভবন পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ৭৭২টি রেলসেতু পুনর্নির্মাণ, ১০০টি ব্রডগেজ, ৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ পুনর্নির্মাণ ও পুনর্বাসন করা হয়েছে। আমাদের রেলওয়েতে বর্তমানে ৩৫টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। গ্যাস ও বিদুতের দাম বাড়লেও টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। বাংলাদেশ রেলওয়ে গত ৬ মাসে ৮৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।’
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইনের প্রকল্প পরিচালক নাজনিন আরা কেয়া বলেন, ‘টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল লাইন ট্রেন চালুর ফলে প্রায় সব ট্রেনের যাত্রার সময় গড়ে ১৫-২০ মিনিট সাশ্রয় হবে।’
ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. বিনয়, রেলসচিব মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন সেকশনে ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার লুপলাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার ও ৪টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে এ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৮৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এসজি