লক্ষ্মীপুর বিআরডিবি ৫ উপজেলায় ১৩ পদই শূন্য
লক্ষ্মীপুর পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের জেলা কার্যালয়সহ ৫ উপজেলায় ১৩টি পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে ৪টিতেই পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (আরডিও) নেই। রায়পুর সহকারী পল্লী উন্নয়ন (এআরডিও) কর্মকর্তা নিজ কার্যালয়সহ ৪ উপজেলার আরডিও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এসব কার্যালয়ে উন্নয়নমূলক কাজ ও আবর্তক ঋণ বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত জনবল নিয়োগ না দিলে পল্লী উন্নয়ন বিভাগ নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে বলে জানিয়েছেন এই ৫ উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যানরা।
বিআরডিবি লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয় সূত্র জানা যায়, জেলা কার্যালয়ে জুনিয়র অফিসার ও অফিস সহায়ক পদ শূন্য রয়েছে। সদর উপজেলা, রায়পুর, রামগতি ও রামগঞ্জে আরডিও নেই। সদর, রামগঞ্জ ও রামগতি কার্যালয়ে এআরডিও পদও শূন্য রয়েছে। রামগতি উপজেলায় জুনিয়র অফিসার (হিসাব রক্ষক) রয়েছেন একজন। তিনিই সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগঞ্জ কার্যালয়ের শূন্যপদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কমলনগরের এআরডিও মো. আলাউদ্দিন রামগঞ্জের আরডিও পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এতে নিজ কার্যালয়ে সময় দিতে পারছেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
এদিকে সদর উপজেলাতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আরডিও, এআরডিও ও হিসাবরক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। সবশেষ ২৬ ডিসেম্বর আরডিও (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিমাংসু বণিক অবসরে যান। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের এআরডিওর দায়িত্বে ছিলেন। সেখানেও তিনি আরডিও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
রামগতি উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান সোয়েব খন্দকার বলেন, আমার এখানে আরডিও ও এআরডিও নেই। রায়পুরের এআরডিও এখানে আরডিও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ, ঠিকমতো অফিস করতে পারেন না। আমার অফিসের জুনিয়র অফিসার (হিসাব রক্ষক) আরও ৪ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। পদগুলো শূন্য থাকায় আবর্তক ঋণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
রায়পুর বিআরডিবির চেয়ারম্যান শফিক খান বলেন, আমাদের কার্যালয়ে আরডিও ও হিসাবরক্ষক পদটি শূন্য রয়েছে। আমার কার্যালয়ের এআরডিও আবদুস সাত্তার সদর ও রামগতি কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। রায়পুরেও তিনি আরডিও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। এজন্য নিজ কার্যালয়ের কাজও ঠিকমতো চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রামগঞ্জ বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূঁইয়া জানান, তার কার্যালয়ের আরডিও, এআরডিও ও হিসাবরক্ষক পদটি শূন্য। এতে তাদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়সারাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, আমার কার্যালয়ের সরকারি তিনটি পদই শূন্য। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়সারাভাবে কাজ করে চলে যায়। এতে সব উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিআরডিবি কার্যালয়ের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, আমার কার্যালয়েই দুটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ডিজিসহ আমি প্রধান কার্যালয়ে লিখিতভাবে শূন্যপদে নিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছি। সারাদেশে আরডিও ও জুনিয়র অফিসার পদে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা কয়েকটি পদে জনবল দিতে পারব।
এসএন