ধানের চাতালে পোড়ানো হচ্ছে ঝুট, বেকায়দায় এলাকাবাসী
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে বেড়েছে তুষ আর গুঁড়ার দাম। এতে ধান থেকে চাল করতে ব্যবসায়ীদের খরচ হচ্ছে বেশি। এই অজুহাতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন ধানের চাতালে পোড়ানো হচ্ছে গার্মেন্টস থেকে কেনা ঝুট। আর ওই ঝুট পোড়াতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে কালো ধোয়া ও দুর্গন্ধ। এমনভাবে পরিবেশ দূষণ হলেও তোয়াক্কা নেই ব্যবসায়ীদের। এতে বেকায়দায় পড়ছেন এলাকাবাসী। তবে প্রশাসন বলছেন,ফ্রেব্রুয়ারী মাসের পর ওই ঝুট পোড়ানো বন্ধ। না হলে চলবে অভিযান।
তথ্যমতে, গুরুদাসপুর উপজেলায় রয়েছে ১৩২টি চাতাল। ওই চাতালগুলোতে ধান সিদ্ধ করে শুকানোর পর করা হয় চাল। কিছুদিন আগে দাম কম থাকলেও বর্তমানে প্রতি কেজি গুঁড়ার দাম পড়ছে ২০ টাকা। ওই খরচ কমাতে ওই চাতাল মালিকরা ঢাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে ৬ টাকায় কেজি প্রতি ঝুট কিনে ব্যবহার করছেন জ্বালানি হিসাবে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাতালে গিয়ে এ বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগে চাতালে ধান সিদ্ধ হতো রাতে। এখন সেটা বিকালেই চালু হয়। চাতাল মালিকরা বর্তমানে ঝুট পোড়ানোয় কালো ধোঁয়ায় এলাকা ছেয়ে যায়। তার সঙ্গে বাতাসে ভাসতে থাকে দুর্গন্ধ। এতে তাদের শরীরে চুলকানিসহ এলার্জি হচ্ছে। এমনকি অনেকের শ্বাসকষ্টও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের সমস্যা হচ্ছে বেশি।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে চাতাল মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউএনও সাহেব বিষয়টি জানেন। তাদের কথা শুনে তিনি তাদের ঝুট পোড়ানোর সময়সীমা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউএনও শ্রাবণী রায় জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর উপজেলার সব চাতাল মালিককে ঝুটের ব্যবহার বন্ধের কথা বলায় তারা দাবি করেছেন,বর্তমানে যে ঝুট রয়েছে তা পোড়ানোর পর নতুন করে আর ঝুট কিনবে না। ওই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন,ফেব্রুয়ারি মাসের পর তারা ঝুট পোড়ালে অভিযান চালানো হবে।
এ ব্যাপারে নাটোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ওই ঝুট পোড়ানো পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ এবং বেআইনি। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসআইএইচ