তারুণ্যের মুখোমুখি হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন
জয়পুরহাট জেলার তরুণদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা, দেশ ও সমাজ নিয়ে তাদের ভাবনা ও স্বপ্নগুলো নিয়ে 'তারুণ্যের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি' অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জয়পুরহাট স্টেডিয়ামে আয়োজিত দিনব্যাপী তারুণ্যের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জয়পুরিয়ান ট্রাস্ট। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ডিস্ট্রিক্ট স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেডিসাব)। অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জয়পুরহাট জেলা শাখা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঁচবিবি পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, জয়পুরহাট পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, পাঁচবিবি উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল শহিদ মুন্না, কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে, এর সুফল মানুষ এখন ভোগ করছে। বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছে। আর স্মার্ট বাংলাদেশের সুফলভোগী হবে এদেশের বর্তমান তরুণ সমাজ।
স্মার্ট বাংলাদেশ মানে শিক্ষিত ও দক্ষতা সম্পন্ন জাতি। সে কারনে তরুণদের ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায় বর্তমান সরকার। তরুণদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা, দেশ ও সমাজকে তাদের ভাবনাসহ স্মার্ট বালাদেশের স্বপ্নগুলো তুলে ধরতেই আয়োজন করা হয়েছে তারুণ্যের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানের।
এছাড়াও তিনি বলেন, সরাসরি তরুণদের কাছ থেকে এ জেলার সংকট শুনতেছি এবং সেই সংকট নিরসনের জন্য আমরা কাজ করতে প্রস্তুত। সেই সাথে দেশের অন্যান জেলার চেয়ে জয়পুরহাট জেলাকে একটি মডেল জেলায় পরিনত করবেন বলে তিনি জানান।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাও এতে অংশগ্রহণ করেন, তরুণদের নানা সংকটের প্রশ্নের উত্তর দেন। জেলার ৫ উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এএজেড