রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বুধুনগরে লুটপাটের তাণ্ডব, পালিয়ে বেড়াচ্ছে শতাধিক পরিবার

একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভৈরবের শ্রীনগর ইউনিয়নের বুধুনগর গ্রামে চলছে ভাংচুর আর লুটপাটের তাণ্ডব। ঘটনার পর থেকেই শুধু পরিধেয় কাপড়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন। একদিকে নিহতের পক্ষের লোকদের হাতে প্রাণ হারানোর ভয় অপরদিকে গ্রেপ্তার আতংক। এ কারণে গ্রামটি এখন পুরুষ শুন্য।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ লুন্দিয়া গ্রামের ইউ,পি সদস্য সহিদ মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়ার নেতিৃতে এসব ঘটনা চালানো হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের দিন থেকে গত ১৬ দিন যাবত লাগাতার চলছে বাড়িঘর ভাংচুর আর লুটপাট।

কার্টার মেশিন আর শাবল কোদালসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদির মাধ্যমে ঘরের টিনের চালা বেড়া দালানের পিলার দরজা জানালা গ্রীল সবই কেটে নিয়ে পুরাতন লোহালক্কর ব্যবসায়ীদৈর কাছে নাম মাত্র মুল্যে বিক্রি করছে। ভাংচুর আর লুটপাটে মেতে উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। কেউ বাধা দিতে গেলে দেয়া হচ্ছে হত্যা মামলার আসামী করার হুমকী। মূলত প্রতিশোধ নিতে নয় আর্থিক ভাবে লাভবান হতেই চালাচ্ছে ভাংচুর আর লোটপাট বলছেন এলাকাবাসি। সেই থেকে প্রাণ ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেরাচ্ছে শতাধিব পরিবার। প্রশাসনের সহযোগিতা চায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।



সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারী এ গ্রামে কালা মিয়া নামে একজন প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারা যায়। ঘটনার পর থেকেই গ্রামটি পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ে। ভৈরব উপজলার শ্রীনগর ইউনিয়নের বুধুনগর গ্রামটিতে গিয়ে দেখা যায় পুরুষ শুন্য। হাতেগুনা কয়েকটি বাড়িঘর যাও দেখা যায় সেগুলো নিহতের পক্ষের লোকজনের। সেগুলো ব্যতীত গ্রামটি যেন বিরানভূমি। চারিদিকে শূধু ধ্বংসস্তুপ। দেখলে মনে হবে এগ্রামটি যেন যুদ্ধবিধ্বস্থ এলাকা। এ গ্রামের ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর দালান কোঠা সবই ভেংগে চুরমার করে দিয়েছে নিহত কালা মিয়া পক্ষের লোকজন।

এ ঘটনাকে কন্দ্রে করে গতকাল পর্যন্ত টানা ১৬ দিন যাবত নারকীয় কাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে নিহতের পক্ষের লোকজন। গ্রেপ্তার আতংকে পুরুষ শুন্য গ্রামটিতে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, গরু ছাগল হাস মুরগি ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। ধারাবাহিক ভাবে প্রতিদিনই চালিয়ে যাচ্ছে ভাংচুর। এসকল ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।



তাদের অভিযোগ পুলিশ যদি সঠিক ভূমিকা রাখতো তাহলে আমাদের এমন ক্ষতি হতনা। মনে হচ্ছে আগামীতে নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করতে হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৫ কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যাক্তি বলেন, ভাংচুর আর লোটপাট বন্ধ করতে আমি অনেক চেষ্টা করেছি তাদের করজোড়ে অনুরোধও করেছি। উল্টো তারা আমাকে হত্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়।

ভোক্তভোগি কয়েকজন নারী বলেন,নিহত কালা মিয়া পক্ষের লোকজন আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নগত টাকা, স্বর্নালঙ্কার, গরু বাছুর ,হাস মুরগি ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের ভয়ে আমরা বাড়িতে আসতেও পারছিনা। তাদের ভয়ে নিজের বাড়ি দেখতে আসলেও আমাদের দেয়া হয় শ্লিলতাহানীর গুমকি। এই শীতে আমরা আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। এভাবে কত দিন থাকতে পারব বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ভুক্তভোগি নারী।

ভৈরব থানার অফিসার ইচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম, বুধুনগর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কালা মিয়া নামে একজন নিহতের ঘঠনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নেয় হবে। নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন একটা পক্ষ বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এধরনের ঘটনা রোধ করতে ঐ এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।

পুনরায় আর যেন কোন লুটপাটের ঘটনা না ঘটে এবং এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের কাছে এমন দাবী করেন এলাকাবাসী।
এএজেড

Header Ad

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এছাড়াও দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসের ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন, ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ক্যাডার ও নন ক্যাডার মিলিয়ে ১৮১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Header Ad

শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার

শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর আগে শপথ নিতে দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসেন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভুঞা।

শপথ নেওয়া চার কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি, সার্চ কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সিইসি ও চার কমিশনারের পরিবারের সদস্যরা।

গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ইসি গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।

পরে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ওই তালিকা থেকে ৫ জনকে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।

Header Ad

দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা

ছবি: সংগৃহীত

প্রাণীদের সুরক্ষায় যেখানে সারা বিশ্ব তৎপর সেখানে বিষ প্রয়োগ করে কুকুর হত্যা করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের অভিজাত আবাসিক এলাকা জাপান গার্ডেন সিটিতে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিনোদন দুনিয়ার অনেক তারকারা। এ তালিকায় আছেন জয়া আহসান, তৌহিদ আফ্রিদি ও জ্যোতিকা জ্যোতির সহ আরও অনেকে। তবে এবার নিন্দার পাশাপাশি থানায় জিডি করলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।

অভিনেত্রী শনিবার (২৩ নভেম্বর) মোহাম্দপুরের আদাবর থানায় জিডি করেছেন জিডির আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা আপনার থানার অন্তর্গত জাপান গার্ডেন সিটিতে বসবাসকারী ও বাংলাদেশের প্রাণী অধিকার কর্মীরা জানতে পারি যে, জাপান গার্ডেন সিটিতে আবাসিক এলাকায় বিষ প্রয়োগে ১০টি পথ কুকুর ও ১টি বিড়াল হত্যা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে নওশাবা বলেন, মানুষের সঙ্গে এমন কিছু হলে আমরা মানববন্ধন করি, বিচার চাই। কিন্তু পশু-পাখিরা তো বোবা প্রাণী। ওদের কোনো সমস্যা হলে ওরা নিজেদের জন্য কিছু করতে পারে না। সে জায়গা থেকে আমরা দায়িত্ববান যারা আছি, তাদের উচিত এসব নিষ্ঠুরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার জায়গা থেকে করছি। আশা করছি সাধারণ সচেতন নাগরিক যারা আছেন তারাও এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করবে এবং মানুষের মতো ওদের যে একটা বাঁচার নিশ্চয়তা সেটা নিশ্চিত করবে। ইতোমধ্যে আমরা জিডি করেছি। পরবর্তীতে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়, সেক্ষেত্রে আমরা মামলার দিকে যাব।

জানা গেছে, খাবারের সঙ্গে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে। আর এই অমানবিক কাজটি করেছে জাপান গার্ডেন সিটি বিল্ডিং কমিটির লোকজন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরাও। এ ঘটনায় বিচারের দাবির পাশাপাশি প্রাণীকল্যাণ আইনের প্রয়োগ ঘটানোর আহ্বানও জানাচ্ছেন অনেকে

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি