শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিসিক নির্বাচন, আলোচনা-সমালোচনায় আনোয়ারুজ্জামান

শত মানুষের ভীড়ে তিনি শুধু একজনই নন, অন্যতম বটে। বিশালাকার দীর্ঘদেহী লোকটিকে আলাদা করে অবশ্যই চিনতে হবে বৈকি! আলোচনার টেবিলেও প্রাসঙ্গিক তিনি। কেউ বলেন 'ম্যাজিক ম্যান'। কারো কাছে তিনি সিলেটের রাজনীতির অন্যতম অভিভাবক। সমালোচনাও আছে। কেউ বলছেন, তিনি উড়ে এসে জোড়ে বসার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ বলছেন তিনি সিলেটের স্থানীয় রাজনীতির কেউ নন। আর তাঁর অনুরাগীরা বলছেন, 'এই নগরীর প্রতিটি ইট-পাথর ওই নামটিকে ভালোভাবেই চিনে ও জানে।

প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার এই মানুষটি স্কুল জীবনে খেলাঘর কর্মী ছিলেন। কলেজ জীবনে এসে যোগ দেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। আওয়ামী রাজনীতির উত্থাল সময়েও সিলেটের রাজপথে সরব ছিলেন তিনি। দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনকালীন অন্যতম 'পলিসি ম্যাকার' হয়ে তিনি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সমর্থ হন। এমনকি উপজেলা পর্যায়েও কাজ করেছেন দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে। সুতরাং সিলেটে তিনি আগন্তুক নয়'।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন (সিসিক) নিয়ে এই মুহুর্তে নগর জোরে এই নাম রয়েছে ব্যাপক আলোচনায়। পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। যাকে নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নগরের ৫৬/৯ পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুজ্জামান সিসিকের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আরবিতে 'আনোয়ার' নামের অর্থ সুন্দর আলোকিত, স্পস্ট ও পরিচ্ছন্ন। অর্থের সাথে চেহারার মিল না থাকলেও অনুরাগীদের কাছে তিনি সবকটি গুনেই বিশেষিত। সিসিকে মেয়র পদে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে কেমন হবে-এমনটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

সাধারণ ভোটারদের অভিমত, দলীয় কোন্দলের কারণে সিসিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পরাজিত হলেও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ক্ষেত্রে সেটি ঘটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ দলের সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করছেন তিনি। তাছাড়া এবারের সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের যেকোনো একজনকে বেছে নেওয়া হলেও সাবেকি ধারার কোন্দলে মেয়র পদটি হারানোর শঙ্কা থাকবে আওয়ামী লীগে। এক্ষেত্রে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলে কোন্দল অবসানের পাশাপাশি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে শতভাগ।

নগরীর চালিবন্দরস্থ ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীনবন্ধু রায় দিপক বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এমন একজন নেতা যিনি সিলেটের স্থানীয় রাজনীতির পাশাপাশি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অন্যতম একজন চালিকাশক্তি। একই সাথে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকদের কাছেও বিশ্বস্থ একজন সিপাহশালার। দলীয় প্রধানসহ শেখ পরিবারের সাথে ঘণিষ্ট এই নেতা সিসিকের মেয়র পদে নির্বাচিত হলে নি:সন্দেহে সিলেটে উন্নয়ন বিপ্লব সাধিত হবে।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রাথমিক শিক্ষা সিলেট নগরীর রায়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর সিলেট সরকারি কলেজে ভর্তি হন উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে। বুরুঙ্গা হাইস্কুলে পড়াকালীনই তিনি চম্পাকলি খেলাঘর আসর ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সংগঠক হিসেবে নিজের স্থান করে নেয়। তারপর সিলেট সরকারি কলেজে থাকাকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। লন্ডনে এসে জড়িয়ে পরে যুবলীগকে সংগঠিত করার কাজে।

গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হয়। যুক্তরাজ্যে যুবলীগের বিশাল কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার পেছনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর রয়েছে ঐতিহাসিক অবদান। সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব গুণে তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করার পর তাঁর মুক্তির দাবিতে যুক্তরাজ্যব্যাপি আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ অগ্রণী ভূমিকা।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর রাজনীতির মূল ক্ষেত্র যুক্তরাজ্য হলেও সিলেটের রাজনীতিতে তিনি একজন পরিচিত মুখ। বিশেষ করে বিগত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের পক্ষে, সংসদ নির্বাচনে ড. মোমেনের পক্ষে ও সিলেট-৩ এর উপ নির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে তার অবদান কোন অংশেই কম ছিল না। তার সতীর্থদের মধ্যে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বর্তমানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেট-৩ এর সাংসদ।

গেল ২২ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ওই দিন সিলেট বিমান বন্দরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,তাঁতী লীগ ও আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর ঢল নামে সিলেট বিমানবন্দরে। পরে মোটর সাইকেলের একটি বিশাল বহর সঙ্গে নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এর মাত্র তিনদিন আগেই নগরীতে সিসিক মেয়র হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী-এমন বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিমানবন্দরে হাজারো নেতাকর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে আনোয়ার চৌধুরী সে ব্যাপারে মুখ না খুলে বরং অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা জানালেন দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি।

একই সাথে তিনি বলেন, এই শহরের উন্নয়নে, বিপদে, দুর্যোগ-দূর্বিপাকে বিগত দিনে নগরবাসীর পাশে ছিলেন, সিলেটের জননন্দিত সাবেক মেয়র (মরহুম) বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। বর্তমানেও কাজ করে যাচ্ছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, এটি এম হাসান জেবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু। তাদের প্রত্যেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন রাজনীতির সুফল পবিত্র এই নগরে পৌছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বিশেষ কোনো বার্তা পেয়ে সিলেট এসেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিমানবন্দরে এই নেতা জানান, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই আমি সিলেটমুখী হই, এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। তাছাড়া, যেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সিসিক নির্বাচনও সমাগত সে হিসেবে নগরে আমার আগমণ অহেতুক নয়। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত একজন মানুষ। তারই সুযোগ্য কন্যা দলীয় প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণ ধারার রাজনীতিতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। সে হিসেবে নেত্রী শুধু আমাকেই নয়, দলের যাকেই যেখানে কাজে লাগাবেন সেখানেই একজোট হয়ে কাজ করতে পারলে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ আওয়ামী রাজনীতির শতভাগ সুফল পেতে সক্ষম হবেন।

এদিকে সিলেট আসার দুই দিন পর তিনি রাজধানীতে গিয়ে দেখা করেন দলীয় প্রধানের সাথে। একই সাথে দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সিলেট ১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গেও দেখা করেন। ফিরে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দলীয় প্রধান আমাকে মাঠে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি কোথায় কা কে কাজে লাগাবেন, একমাত্র তিনিই জানেন। তাছাড়া, সকলেরই জানেন আমি বিগত দুই দুইবার সিলেট-২ আসনে সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন চাই। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাই নি।

এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও সিলেটের কৃতি সন্তান নজিবুর রহমান, ড. ফরাস উদ্দিন,সিএম কয়েস সামি, ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ দেশের একাধিক স্বনামধ্যন্য লোকজন ফোনে শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি জানি না। মানুষ কেন আমাকে এত ভালোবাসে। আমি সকলের ভালোবাসা ও দোয়া মাথায় তোলে নিলাম। এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে নিজেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রস্তুত রাখতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ'।

সিসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দীর্ঘদিন থেকে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁরা আপনাকে মেনে নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রশ্নটি আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক। কারণ আমি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করতে চাই না। সবাই দলের হয়ে কাজ করেন, কিছু পাওয়ার জন্য।

প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করলেন, তাদের মধ্যে আমার নেতা, সহকর্মী ও অনুজ রয়েছেন। সে হিসেবে দলীয় প্রধানের সিদ্বান্তই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত। আর মেনে নেয়ার বিষয়টি এখানে যায় না। কারণ যারা আওয়ামী আদর্শ ধারণ করেন, তাদের মধ্যে অভিমান সৃষ্টি হলেও বিভাজন থাকে না। দিনশেষে সবাই হয়ে যায় জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত এক একটি ভ্যানগার্ড।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার