সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিসিক নির্বাচন, আলোচনা-সমালোচনায় আনোয়ারুজ্জামান

শত মানুষের ভীড়ে তিনি শুধু একজনই নন, অন্যতম বটে। বিশালাকার দীর্ঘদেহী লোকটিকে আলাদা করে অবশ্যই চিনতে হবে বৈকি! আলোচনার টেবিলেও প্রাসঙ্গিক তিনি। কেউ বলেন 'ম্যাজিক ম্যান'। কারো কাছে তিনি সিলেটের রাজনীতির অন্যতম অভিভাবক। সমালোচনাও আছে। কেউ বলছেন, তিনি উড়ে এসে জোড়ে বসার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ বলছেন তিনি সিলেটের স্থানীয় রাজনীতির কেউ নন। আর তাঁর অনুরাগীরা বলছেন, 'এই নগরীর প্রতিটি ইট-পাথর ওই নামটিকে ভালোভাবেই চিনে ও জানে।

প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার এই মানুষটি স্কুল জীবনে খেলাঘর কর্মী ছিলেন। কলেজ জীবনে এসে যোগ দেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। আওয়ামী রাজনীতির উত্থাল সময়েও সিলেটের রাজপথে সরব ছিলেন তিনি। দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনকালীন অন্যতম 'পলিসি ম্যাকার' হয়ে তিনি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সমর্থ হন। এমনকি উপজেলা পর্যায়েও কাজ করেছেন দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে। সুতরাং সিলেটে তিনি আগন্তুক নয়'।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন (সিসিক) নিয়ে এই মুহুর্তে নগর জোরে এই নাম রয়েছে ব্যাপক আলোচনায়। পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। যাকে নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নগরের ৫৬/৯ পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুজ্জামান সিসিকের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আরবিতে 'আনোয়ার' নামের অর্থ সুন্দর আলোকিত, স্পস্ট ও পরিচ্ছন্ন। অর্থের সাথে চেহারার মিল না থাকলেও অনুরাগীদের কাছে তিনি সবকটি গুনেই বিশেষিত। সিসিকে মেয়র পদে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে কেমন হবে-এমনটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

সাধারণ ভোটারদের অভিমত, দলীয় কোন্দলের কারণে সিসিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পরাজিত হলেও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ক্ষেত্রে সেটি ঘটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ দলের সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করছেন তিনি। তাছাড়া এবারের সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের যেকোনো একজনকে বেছে নেওয়া হলেও সাবেকি ধারার কোন্দলে মেয়র পদটি হারানোর শঙ্কা থাকবে আওয়ামী লীগে। এক্ষেত্রে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলে কোন্দল অবসানের পাশাপাশি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে শতভাগ।

নগরীর চালিবন্দরস্থ ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীনবন্ধু রায় দিপক বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এমন একজন নেতা যিনি সিলেটের স্থানীয় রাজনীতির পাশাপাশি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অন্যতম একজন চালিকাশক্তি। একই সাথে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকদের কাছেও বিশ্বস্থ একজন সিপাহশালার। দলীয় প্রধানসহ শেখ পরিবারের সাথে ঘণিষ্ট এই নেতা সিসিকের মেয়র পদে নির্বাচিত হলে নি:সন্দেহে সিলেটে উন্নয়ন বিপ্লব সাধিত হবে।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রাথমিক শিক্ষা সিলেট নগরীর রায়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর সিলেট সরকারি কলেজে ভর্তি হন উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে। বুরুঙ্গা হাইস্কুলে পড়াকালীনই তিনি চম্পাকলি খেলাঘর আসর ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সংগঠক হিসেবে নিজের স্থান করে নেয়। তারপর সিলেট সরকারি কলেজে থাকাকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। লন্ডনে এসে জড়িয়ে পরে যুবলীগকে সংগঠিত করার কাজে।

গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হয়। যুক্তরাজ্যে যুবলীগের বিশাল কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার পেছনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর রয়েছে ঐতিহাসিক অবদান। সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব গুণে তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করার পর তাঁর মুক্তির দাবিতে যুক্তরাজ্যব্যাপি আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ অগ্রণী ভূমিকা।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর রাজনীতির মূল ক্ষেত্র যুক্তরাজ্য হলেও সিলেটের রাজনীতিতে তিনি একজন পরিচিত মুখ। বিশেষ করে বিগত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের পক্ষে, সংসদ নির্বাচনে ড. মোমেনের পক্ষে ও সিলেট-৩ এর উপ নির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে তার অবদান কোন অংশেই কম ছিল না। তার সতীর্থদের মধ্যে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বর্তমানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেট-৩ এর সাংসদ।

গেল ২২ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ওই দিন সিলেট বিমান বন্দরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,তাঁতী লীগ ও আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর ঢল নামে সিলেট বিমানবন্দরে। পরে মোটর সাইকেলের একটি বিশাল বহর সঙ্গে নিয়ে নগরীতে প্রবেশ করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এর মাত্র তিনদিন আগেই নগরীতে সিসিক মেয়র হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী-এমন বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিমানবন্দরে হাজারো নেতাকর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে আনোয়ার চৌধুরী সে ব্যাপারে মুখ না খুলে বরং অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা জানালেন দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি।

একই সাথে তিনি বলেন, এই শহরের উন্নয়নে, বিপদে, দুর্যোগ-দূর্বিপাকে বিগত দিনে নগরবাসীর পাশে ছিলেন, সিলেটের জননন্দিত সাবেক মেয়র (মরহুম) বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। বর্তমানেও কাজ করে যাচ্ছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, এটি এম হাসান জেবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু। তাদের প্রত্যেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন রাজনীতির সুফল পবিত্র এই নগরে পৌছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বিশেষ কোনো বার্তা পেয়ে সিলেট এসেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিমানবন্দরে এই নেতা জানান, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই আমি সিলেটমুখী হই, এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। তাছাড়া, যেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সিসিক নির্বাচনও সমাগত সে হিসেবে নগরে আমার আগমণ অহেতুক নয়। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত একজন মানুষ। তারই সুযোগ্য কন্যা দলীয় প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণ ধারার রাজনীতিতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। সে হিসেবে নেত্রী শুধু আমাকেই নয়, দলের যাকেই যেখানে কাজে লাগাবেন সেখানেই একজোট হয়ে কাজ করতে পারলে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ আওয়ামী রাজনীতির শতভাগ সুফল পেতে সক্ষম হবেন।

এদিকে সিলেট আসার দুই দিন পর তিনি রাজধানীতে গিয়ে দেখা করেন দলীয় প্রধানের সাথে। একই সাথে দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সিলেট ১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গেও দেখা করেন। ফিরে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দলীয় প্রধান আমাকে মাঠে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি কোথায় কা কে কাজে লাগাবেন, একমাত্র তিনিই জানেন। তাছাড়া, সকলেরই জানেন আমি বিগত দুই দুইবার সিলেট-২ আসনে সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন চাই। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাই নি।

এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও সিলেটের কৃতি সন্তান নজিবুর রহমান, ড. ফরাস উদ্দিন,সিএম কয়েস সামি, ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ দেশের একাধিক স্বনামধ্যন্য লোকজন ফোনে শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি জানি না। মানুষ কেন আমাকে এত ভালোবাসে। আমি সকলের ভালোবাসা ও দোয়া মাথায় তোলে নিলাম। এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে নিজেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রস্তুত রাখতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ'।

সিসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দীর্ঘদিন থেকে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁরা আপনাকে মেনে নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রশ্নটি আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক। কারণ আমি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করতে চাই না। সবাই দলের হয়ে কাজ করেন, কিছু পাওয়ার জন্য।

প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করলেন, তাদের মধ্যে আমার নেতা, সহকর্মী ও অনুজ রয়েছেন। সে হিসেবে দলীয় প্রধানের সিদ্বান্তই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত। আর মেনে নেয়ার বিষয়টি এখানে যায় না। কারণ যারা আওয়ামী আদর্শ ধারণ করেন, তাদের মধ্যে অভিমান সৃষ্টি হলেও বিভাজন থাকে না। দিনশেষে সবাই হয়ে যায় জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত এক একটি ভ্যানগার্ড।
এএজেড

Header Ad

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।

আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

Header Ad

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর

ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। ঢালিউড সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা কেমন, সেটা একেবারেই অজানা নয় ভক্তদের। বর্তমানে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।

সবশেষ শবনম বুবলীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার কোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা।

তবে বুবলীর জন্মদিনের তিনদিন পর রোববার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টোহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।

সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা। যেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের। কারণ ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি।

সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন।

সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও বুবলীর জন্মদিনে তাকে খোঁচা দিতে গেল অপু বিশ্বাসকে। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি।

অপুকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। কেউ আবার অপুর মানসিকতার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদের খবর শোনা যায়।

Header Ad

কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে একটি ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, বরং এটি পাক আর্মির আদলে হওয়ায় নিজেই এটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাস্কর অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী ওরফে জোসি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটিকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে এটিকে একটি মহল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ভাস্কর্যটির ঠিকমতো রূপ দেওয়া যায়নি। তাই এটি কাজে লাগানোর সুযোগ নেই। তাই ওয়েস্টেজ (অপচয়) হিসেবে আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। রোববার আবার ফেরত নিয়ে এসেছি।

কিন্তু এই প্রচারণাকে অসত্য ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এক যুগ আগে নওগাঁর জেলা পরিষদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারের কথায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু শর্ত না মেনে নির্মাণ করায় তারা এটি গ্রহণ করেনি। পরে তাদের রড-সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু অনুষদের পেছনে মেহেরচণ্ডী মধ্যপাড়ায় তার নিজের স্টুডিওতে রাখা ছিল এটি। নিজের জায়গাতেই এ স্টুডিওটি। এখানে নানা শিল্পকর্ম নির্মাণ করেন ড. আমিরুল মোমেনীন।

ড. আমিরুল মোমেনীন আরও বলেন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাস্কর্যটিও কর্তৃপক্ষ পছন্দ করেনি। এ জন্য হস্তান্তর করা যায়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে রাখা আছে। কিন্তু এখন স্টুডিওর এই জায়গাটি বিক্রির চেষ্টা করছি। তাই স্টুডিওর সব ওয়েস্টেজ বিক্রি করে দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে কয়েকজন এসে বলল, মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কিনতে চায়। তাদের কাছে ভাঙারি লোহার মতো কেজি দরে নামে মাত্র টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আমি তখন জানতাম না তারা ভাঙারির দোকানের জন্য কিনছে। পরে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এ ঘটনা। তারা আসল ঘটনা না জেনেই এগুলো লিখেছে। আমি কখনোই কাউকে বলিনি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য বিক্রি করা বা রাখা যাবে না। বর্তমান সরকার তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। আর কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। আমি এটার প্রতিবাদ করছি।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্টের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব নয়, তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন ভাস্কর ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী এমন সংবাদে গেল কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ছবিটি পোস্ট করে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে। ছবিটি শেয়ার করে তীর্যক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনও।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি