রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান
হাইকোর্টের নির্দেশে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটির আসামবস্তির ব্রাহ্মণটিলা এলাকা থেকে এ অভিযান পরিচালনা শুরু করা হয়। এসময়ে কাপ্তাই হ্রদ দখল করে গড়ে উঠা প্রায় ১০টি অবৈধ স্থাপনা (বসতবাড়ি ও দোকানপাট) উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জোয়ার্দার।
এলাকাবাসীর বিরোধীতায় প্রশাসন মালামাল সরিয়ে নিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেই এবং আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে আবারো অভিযান পরিচালান করার ঘোষণা দেই। উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয় কাপ্তাই হ্রদ অবৈধ দখল উচ্ছেদে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে কাপ্তাই হ্রদ দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
উচ্ছেদ হওয়া দোকান মালিক মিনতি চাকমা জানান, আমাদের দোকান ভেঙ্গে দিবে সেটা আগে বললে আমরা জিনিস সরিয়ে নিতাম। অন্য জায়গায় সরে যেতাম। কিন্তু কোন ভাবে আগে না বলে হঠ্যাৎ এসে দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। এখন আমরা কোথায় যাব। আমাদের জিনিসপত্র কিছু বের করতে পেরেছি কিছু পারিনি। এখন কিভাবে খাব আমাদের আয়ের পথ নিমিশেই বন্ধ করে দেয়া হল।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা কাপ্তাই হ্রদ দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছি। এই অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, কিছুদিন আগে মহামান্য হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা আমরা পাই। সেই নির্দেশনা অনুসারে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ ভাবে দখল করে নির্মিত হওয়া স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
এএজেড