১৫ বছরেও নির্মিত হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক
প্রায় ১৫ বছর আগে উল্লাপাড়া পৌরসভার নেওয়ারগাছা খালের মধ্যে সেতুটি নির্মিত হয়। তার দুপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার ৮ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে খাল পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে স্থানীয় জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এই খালে পাশাপাশি দুটি সেতু নির্মাণ করে। এর একটির উপর আরসিসি পাটাতন দেওয়া হয়। অপরটির উপরে পাটাতন নির্মাণ করা হয়নি। হঠাৎ করে তখন ব্রিজ দুটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন পাটাতনবিহীন সেতুর উপর বাঁশের মাচা দিয়ে সেতু দুটির দুপাশে বাঁশ ফেলে কোনোভাবে খালটি পারাপার হতে থাকে। কারণ তাদের পৌরসভা কার্যালয়, উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌর বাজার, উপজেলা শহর, বালসাবাড়ী বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যাতায়াত করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, উল্লিখিত সেতু দটির দুপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় খালের পার্শ্ববর্তী শ্রীফলগাঁতী, চর শ্রীফলগাঁতী, নেওয়ারগাছা, চর নেওয়ারগাছা, নন্দীগাঁতী, পাইকপাড়া, পার সোনতলা ও নেওয়ারগাছা নতুনপাড়ার প্রায় ৩০ হাজার নারী, পুরুষকে দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে এসব গ্রামের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী চরম ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু পার হয়ে খন্দকার আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়, জহুরা মহিউদ্দিন খান বালিকা বিদ্যালয়, এইচ. টি. ইমাম ডিগ্রি কলেজ ও নেওয়ারগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকে।
অনেক সময় সেতু থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয় কেউ। ভিজে যায় বই খাতা পোশাক। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরপর ৪ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বিষয়টি তাদের জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। সংশ্লিষ্ট গ্রামের লোকজন নিজেরা চাঁদা দিয়ে বাঁশ কিনে বর্ষা মৌসুমে ব্রিজের ওপর মাচা তৈরি করে খাল পারাপার হয়। শুকনো মৌসুমে খালে পানি না থাকলেও এলাকার লোকজনকে ১ কিলোমিটার ঘুরে পার্শ্ববর্তী মহাসড়কে উঠতে হয়। এলাকাবাসীর দুভোর্গের বিষয়টি বারবার পৌরসভাকে জানালেও তারা তা আমলে নেয়নি।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নেওয়ারগাছা এলাকার মানুষের দুভোর্গের কথা স্বীকার করেন। মেয়র জানান, সেতু নির্মাণকালে তিনি পৌর মেয়র ছিলেন না। তবে ইতোমধ্যেই ওই সেতুন সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এই সেতুন সংযোগ সড়কের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
/এএন