সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোলার ৪ আসনে আওয়ামী লীগের পাঁচ নতুনের গুঞ্জন

ভোলার রাজনীতিতে নতুন রাজনৈতিক নেতাদের মনোনয়ন প্রত্যাশা ঘনিভুত। ভোলার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের নতুন ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশির নাম শুনা যাচ্ছে আওয়ামী রাজনীতির মাঠে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো বাকি প্রায় এক বছর। এরই মধ্যে ভোলায় শুরু হয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নড়াচড়া। তবে স্বাধীনতার পর থেকে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে খ্যাত জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদ।

এক সময়ে দলটির সব কয়টি জয় পেতে, দলকে সুসংগঠিতসহ তৃণমূল পর্যন্ত শক্তিশালী করার অগ্রভুমিকা রেখেছেন তিনি। তোফায়েল আহাম্মেদ ভোলা-১ সদর আসন থেকে পাঁচবার এবং ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি ভোলা সদর আসনে একক প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন জেলার আওয়ামী নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে দলের জেলা শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান হিরণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমুর নামও আলোচনায় ভাষছে। তবে সাবেক ছাত্র নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমু বলেন আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলাম, আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বর্তমান সাংসদ তোফায়েল আহাম্মেদের সমর্থন করে নৌকার বিজয়ে প্রচার প্রচারণায় অংশ নেই। তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় নেত্রীর একান্ত বিবেচনা ও নির্দেশনায় আমি ভোলা -১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।

তবে নেত্রীর নির্দেশনা ও আশির্বাদে আমি নেতা হিসেবে নয় আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। তবে মনোনয়নের বিষয়ে নেত্রীর নির্দেশনা আমি মেনে নিবো ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা বলছেন, তোফায়েল আহম্মেদ বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলককাজ করেছেন।

তিনি তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকায় এসে দলীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ কারণে দলের এ বর্ষীয়ান নেতা আগামী নির্বাচনেও ভোলা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তাকে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭০ সালে প্রথম মনোনয়ন দেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি এমএলএ নির্বাচিত হয়েছেন। সেই থেকেই তোফায়েল আহাম্মেদের হাত ধরে বিজয়ের ধারা শুরু হয়েছে ভোলার আওয়ামী রাজনীতিতে ।

এর পর প্রার্থী হন ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। এর মধ্যে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোলা-১ আসন থেকে জয় লাভ করেন দলটির এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ভোলা-২ আসন (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) থেকেও নির্বাচিত হন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী তোফায়েল আহমেদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার আশা ব্যাক্ত করেন দলটির জেলা ও উপজেলার নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ভোলা-১ আসন থেকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিবেন বলে জানিয়েছেন দলটির নেতা কর্মীরা।

অতীতে জেলার একাধিক আসনে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নামলেও এবার শেষ বয়সে ভোলা-১ আসনকেই বেছে নিবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীগন । অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার তিনটি আসন থেকে দাঁড়িয়ে তিনটিতেই পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা। তবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পান ভোলা-১ আসনে। এবারও এখান থেকেই তার ভোটের প্রস্তুতি থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতা কর্মীরা। জনগণের মধ্যে প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ভোলার উন্নয়নের চিত্র পাল্টে দিতে যে কয়জন রাজনৈতিক ব্যাক্তি অবদান রেখেছেন তোফায়েল আহাম্মেদ তাদেরই অন্যতম একজন। আর এ কারণে ভোটের ময়দানে তিনি রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, দ্বীপজেলা ভোলার অন্যতম প্রধান সমস্যা নদীভাঙন রোধে গত ৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায়। ইতিমধ্যে ইলিশা ও রাজাপুরে নদীভাঙন রোধে সিসি ব্লকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভোলা-বরিশাল সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্মাণ হবে সেতু। এরইমধ্যে যাচাই হয়েছে সম্ভাব্যতা। আর এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়ার আশা করছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে ভোলার অপর ৩টি আসনের ভোলা ২ (বোরহানউদ্দিন -দৌলতখাঁন) তিনি হচ্ছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাইয়ের ছেলে আলী আজম মুকুল (এমপি)। যিনি জনপ্রিয়তা প্রমাণে সফল হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ভোলা ২ আসনে আলি আযম মুকুল দুই বারের সংসদ সদস্য থেকে তার নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তবে বর্তমানে ভোলা -২ আসনে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এর সহোদর ভাই আশিকুর রহমান শান্ত ওএর নাম শুনা যাচ্ছে।

একইভাবে তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশি ভোলা-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান এর নাম এখন এলাকায় শোনা যাচ্ছে। ইতি মধ্যে ভোলা -৩ (লালমোহন তজুমদ্দিন) এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান সামাজিক কর্মকান্ড সহ স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান বলেন, আমি ছাত্র জীবনে রুয়েট আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং কর্ম জীবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি থাকবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আমি ভোলা -৩ আসনে মনোনয়ন প্রাপ্ত হলে ভোটের মাঠে লড়ে জয় সুনিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। তবে ভোলা -৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মেজর জশিমের নাম ও শোনা যাচ্ছে।

(অবঃ)মেজর জসিম ঢাকা প্রকাশকে বলেন আমি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ভোলা ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে উক্ত আসনে ২০১০ সালে উপনির্বাচনে আমি মনোনীত না হলে বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এর সাঙ্গে আওয়ামী লিগের একজন কর্মী হয়ে কাজ করেছিলাম।

আমি আশাকরি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা ৩ আসনে মনোনীত করলে আবারও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তবে আওয়ামীলীগ আমাকে মনোনয়ন না দিলেও দলের সাথে আছি এবং বাকিটা জীবন আওয়ামী লীগের সাথে থাকবো ।

ভোলা-৪ আসনে বর্তমান বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (এমপি)। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন এর নাম ও এখন আলোচনায় ভাষছে। তবে উন্নয়নমুলুক কর্মকান্ড ও জনপ্রিয়তায় আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এগিয়ে ।
এএজেড

Header Ad

শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তবে বিদেশে থাকলেও কদিন পর পরই ফাঁস হচ্ছে অডিও কল রেকর্ড। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাকে। ফোন কলেই ছুড়ে দিচ্ছেন নানা রকম হুমকিও।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আবারও শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একদল প্রবাসী নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।

অডিও থেকে জানা যায়, সুইডেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশটিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন দলটির নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ফোন কলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠান শেষে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত বাবু সুভাষ ঘোষ, লিংকন মোল্ল্যা, খোকন মজুমদার, নঈম বাবু, মোহম্মদ শহীদ, মাহবুবুর রহমান, লিমন, কবির, সাব্বিরসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করতে শোনা যায়।

অডিওর শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের খুনি অ্যাখ্যা দিয়ে এসময় নেতাকর্মীদের ফোনকল রেকর্ড করার কথা বলা হয়। অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছেন। শ্রমিক আন্দোলন করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে।

অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছে। শ্রমিক আন্দোলন করেছে, সাথে সাথে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেলো, সাথে সাথে গুলি করলো। সেখানে একজন মারা গেলো এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জুলাই থেকে এই ছাত্ররা যখন আন্দোলন করে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। তারা সহিংস হওয়ার আগে গায়ে একটা টোকাও পড়েনি। তাদের মতো তারা আসছে-বসছে, আমরা তো তাদের কিছুই বলিনি। পুলিশের কাছে কোনো মেটাল বুলেট ছিল না। নির্দেশ দিয়েছি কোনো গুলি করবা না। পুলিশ ব্যারিকেড উঠিয়ে তারা ইচ্ছে মতো আন্দোলন করেছে। শুরু থেকে তো অনেক কিছু করা যেতো, আমরা তো সেসব করিনি।

তিনি বলেন, এই কোটা তো আমিই বাতিল করে দিয়েছি। যেখানে কোনো কোটাই নাই, সেখানে আন্দোলনটা কিসের জন্যে ছিল? তারপর আমাদের মন্ত্রীরা তাদের বসে, তাদের সব দাবি মানা হয়। দাবি মানার পরে আবার এক দফা। শেখ হাসিনাকে খুন করো, এই তো কথা? তাদের টার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা।

তিনি আরও বলেন, এখান আবার হত্যা মামলা দিয়ে বলে গণহত্যার বিচার হবে। গণহত্যার বিচার আমার না, বিচার হবে ইউনূসের। এই সমস্ত খুনের দায়-দায়িত্ব ইউনূসকে নিতে হবে। সে যে হত্যার সাথে জড়িত, তার প্রমাণ তো পাওয়ায় যায়। কারণ জেলখানায় যত জঙ্গি আটক ছিল, তাদেরকে ইউনূস ছেড়ে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে ইউনূসের একটা যোগসাজশ ছিল। বাংলাদেশটাকে সে একটা জঙ্গি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেয়ার মার্কেটের টাকা উধাও, ব্যাংকে টাকা নাই। ব্যাংকের টাকা উধাও। সেসব টাকা গেরো কোথায়? ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমি রেখে আসছি। ১ কোটি পরিবারের জন্যে টিসিবি কার্ড দিয়েছি।

তিনি বলেন, দেশে যে অরাজকতা চলছে তার বিচার হবে ইনশাল্লাহ। এদের বিচার আমি করবোই ইনশাল্লাহ।

Header Ad

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক পিএলসির যেসব শেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করেছে, সেগুলো বিক্রির পরিকল্পনা করছে ইসলামী ব্যাংক। এই শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে চায় ব্যাংকটি। এই শেয়ারগুলোর বেশিরভাগ ছিল বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, পাচার করা টাকা পুনরুদ্ধার কৌশলের অংশ হিসেবে এসব শেয়ার বিক্রি করা হবে।

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এস আলম ইসলামী ব্যাংকের ১৭টি শাখা থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। শুধু টাকা নেয়নি, আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যাংকের যে সম্পর্ক ছিল, সেটাও ধ্বংস করে দিয়েছে। পাশাপাশি পুরোনো উদ্যোক্তা সৌদি প্রতিষ্ঠান আল রাজিকে আনার চেষ্টা চলছে। আইএফসিকেও যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, সব ব্যাংককে রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব। পরিচালনায় বদল এনেও যেসব ব্যাংক এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সব আমানতকারীকে রক্ষা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছেন, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান মরতে দেওয়া হবে না। কারণ, সব প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পদ। এর সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগ, উৎপাদন ও সরবরাহ জড়িত। এস আলমের শাস্তির জন্য আদালতে মামলা দায়ের হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, তাদের কী হবে।

ইসলামী ব্যাংকের উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান, ৩ মাসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। প্রবাসী আয় বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ দেওয়া বন্ধ আছে। ব্যাংকের ২ হাজার ৭০০ এজেন্ট পয়েন্টে তিনজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা ব্যাংকের আমানত বাড়াতে ভূমিকা পালন করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মালিকানা পরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছাড়তে শুরু করেন। এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে ইসলামী ব্যাংকের ৫০ শতাংশের বেশি মালিকানা বিদেশিদের হাতে ছিল। এখন যা কমে ১৩ শতাংশে নেমেছে।

এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ধীরে ধীরে শেয়ার ছেড়ে দেয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), দুবাই ইসলামী ব্যাংক, ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড করপোরেশন দোহা, ইসলামিক ব্যাংকিং সিস্টেম ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং লুক্সেমবার্গ, শেখ আহমেদ সালেহ জামজুম, শেখ ফুয়াদ আবদুল হামিদ আল-খতিব, আল-রাজি গ্রুপ, কুয়েতের সরকারি ব্যাংক কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, সৌদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সিসহ বেশির ভাগ বিদেশি উদ্যোক্তা ও সাধারণ শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠান।

Header Ad

অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার সময় যত বেশি নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৮ নভেম্বর) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়। তাই সরকারকেই সেটি চিন্তা করতে হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং দেব। তবে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বসে আছে। তারা সংস্কার করতে দেবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখছি না। এগুলো দৃশ্যমান করুন।

দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (রোববার) আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছেন, ভালো হয়েছে। অনেকে আশান্বিত হয়েছেন, আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন। আমি কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি। কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক, না যাক, সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু আজকে যারা দেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, দেশকে সংঘাতে জড়াতে চাচ্ছে, তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এটা চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, এখন যে পরিবর্তন এসেছে তা বুঝতে হবে। বুঝতে হবে, ছেলেরা কি বলছে। আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেছি, যান দিয়েছি, প্রাণ দিয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেলে গেছি। তারপরও শেষ লাথিটা গোলে কে মেরেছে? ছাত্ররা মেরেছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা (বিএনপি) যখন সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছি, তখন আমি আমার বক্তব্যে একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতাম। কোথায়, আমরা তো নবীনদের দেখতে পাচ্ছি না, তরুণদের দেখতে পাচ্ছি না, ছাত্রদের দেখতে পাচ্ছি না। ছাত্র-তরুণরা যদি সঙ্গে না আসে, তাহলে বুক পেতে গুলি নেবে কে? বুক পেতে গুলি নেয়ার প্রতীক ছাত্র, তরুণ, যুবক। যার পিছুটান নেই, যে ভ্যানগার্ড। আমরা মধ্য বয়সী, বয়স্করা পরিবারের কথা চিন্তা করি। আমরা ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করি। আমি যদি আজ গুলি খেয়ে পড়ে যাই, আমার পরিবারের কি হবে সেই চিন্তা করেছি- তাই না? কিন্তু বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকা, সাঈদ রংপুরে যেভাবে দাঁড়ালো, দ্যাট ওয়াজ দ্য টার্নিং পয়েন্ট অব মুভমেন্ট। এ বিষয়টি আমাদের চিন্তা করতে হবে। সুতরাং, ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কখনোই দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দ্রুত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) যতদিন বেশি থাকে, তত সমস্যা তৈরি হবে। কারণ এর তো ম্যান্ডেট নেই। এ তো নির্বাচিত সরকার নয়। এর পেছনে শক্তিটা কোথায়? এ জন্যই এই সরকারকে চিন্তা করতে হবে, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নির্বাচন দিতে হবে। আমরাও সংস্কার চাই, তবে তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে করতে হবে। এমন সময় যেন না নেয়, যে সময় নিতে গেলে জনগণের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা হয়, যে আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) থেকে যেতে চাইছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে কেন? হাসিনা পালিয়ে গেছে, তিনি চিন্তা করতে ভুল করেছেন। আমরা বার বার বলেছি, দেয়ালের লিখন পড়েন, মানুষের চোখের ভাষা বোঝেন। মানুষ এখন আর আপনাদের চায় না। আপনারা দেশটাকে ধ্বংস করেছেন। আমাদের কথা তারা শোনেনি। না শুনে উল্টো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করেছে এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। আমরা কেউ যেন এমন কাজ না করি, যা দেশকে আবার অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস, প্রবাসীদের নিয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির