বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোলার ৪ আসনে আওয়ামী লীগের পাঁচ নতুনের গুঞ্জন

ভোলার রাজনীতিতে নতুন রাজনৈতিক নেতাদের মনোনয়ন প্রত্যাশা ঘনিভুত। ভোলার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের নতুন ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশির নাম শুনা যাচ্ছে আওয়ামী রাজনীতির মাঠে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো বাকি প্রায় এক বছর। এরই মধ্যে ভোলায় শুরু হয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নড়াচড়া। তবে স্বাধীনতার পর থেকে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে খ্যাত জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদ।

এক সময়ে দলটির সব কয়টি জয় পেতে, দলকে সুসংগঠিতসহ তৃণমূল পর্যন্ত শক্তিশালী করার অগ্রভুমিকা রেখেছেন তিনি। তোফায়েল আহাম্মেদ ভোলা-১ সদর আসন থেকে পাঁচবার এবং ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি ভোলা সদর আসনে একক প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন জেলার আওয়ামী নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে দলের জেলা শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান হিরণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমুর নামও আলোচনায় ভাষছে। তবে সাবেক ছাত্র নেতা হেমায়েত উদ্দিন হিমু বলেন আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলাম, আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বর্তমান সাংসদ তোফায়েল আহাম্মেদের সমর্থন করে নৌকার বিজয়ে প্রচার প্রচারণায় অংশ নেই। তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় নেত্রীর একান্ত বিবেচনা ও নির্দেশনায় আমি ভোলা -১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।

তবে নেত্রীর নির্দেশনা ও আশির্বাদে আমি নেতা হিসেবে নয় আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। তবে মনোনয়নের বিষয়ে নেত্রীর নির্দেশনা আমি মেনে নিবো ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা বলছেন, তোফায়েল আহম্মেদ বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলককাজ করেছেন।

তিনি তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকায় এসে দলীয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ কারণে দলের এ বর্ষীয়ান নেতা আগামী নির্বাচনেও ভোলা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তাকে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭০ সালে প্রথম মনোনয়ন দেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি এমএলএ নির্বাচিত হয়েছেন। সেই থেকেই তোফায়েল আহাম্মেদের হাত ধরে বিজয়ের ধারা শুরু হয়েছে ভোলার আওয়ামী রাজনীতিতে ।

এর পর প্রার্থী হন ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। এর মধ্যে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোলা-১ আসন থেকে জয় লাভ করেন দলটির এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ভোলা-২ আসন (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) থেকেও নির্বাচিত হন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী তোফায়েল আহমেদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার আশা ব্যাক্ত করেন দলটির জেলা ও উপজেলার নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ভোলা-১ আসন থেকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিবেন বলে জানিয়েছেন দলটির নেতা কর্মীরা।

অতীতে জেলার একাধিক আসনে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নামলেও এবার শেষ বয়সে ভোলা-১ আসনকেই বেছে নিবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীগন । অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার তিনটি আসন থেকে দাঁড়িয়ে তিনটিতেই পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা। তবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পান ভোলা-১ আসনে। এবারও এখান থেকেই তার ভোটের প্রস্তুতি থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতা কর্মীরা। জনগণের মধ্যে প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ভোলার উন্নয়নের চিত্র পাল্টে দিতে যে কয়জন রাজনৈতিক ব্যাক্তি অবদান রেখেছেন তোফায়েল আহাম্মেদ তাদেরই অন্যতম একজন। আর এ কারণে ভোটের ময়দানে তিনি রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, দ্বীপজেলা ভোলার অন্যতম প্রধান সমস্যা নদীভাঙন রোধে গত ৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায়। ইতিমধ্যে ইলিশা ও রাজাপুরে নদীভাঙন রোধে সিসি ব্লকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভোলা-বরিশাল সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্মাণ হবে সেতু। এরইমধ্যে যাচাই হয়েছে সম্ভাব্যতা। আর এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়ার আশা করছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে ভোলার অপর ৩টি আসনের ভোলা ২ (বোরহানউদ্দিন -দৌলতখাঁন) তিনি হচ্ছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাইয়ের ছেলে আলী আজম মুকুল (এমপি)। যিনি জনপ্রিয়তা প্রমাণে সফল হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ভোলা ২ আসনে আলি আযম মুকুল দুই বারের সংসদ সদস্য থেকে তার নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তবে বর্তমানে ভোলা -২ আসনে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এর সহোদর ভাই আশিকুর রহমান শান্ত ওএর নাম শুনা যাচ্ছে।

একইভাবে তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশি ভোলা-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান এর নাম এখন এলাকায় শোনা যাচ্ছে। ইতি মধ্যে ভোলা -৩ (লালমোহন তজুমদ্দিন) এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান সামাজিক কর্মকান্ড সহ স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান বলেন, আমি ছাত্র জীবনে রুয়েট আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং কর্ম জীবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি থাকবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আমি ভোলা -৩ আসনে মনোনয়ন প্রাপ্ত হলে ভোটের মাঠে লড়ে জয় সুনিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। তবে ভোলা -৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মেজর জশিমের নাম ও শোনা যাচ্ছে।

(অবঃ)মেজর জসিম ঢাকা প্রকাশকে বলেন আমি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ভোলা ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে উক্ত আসনে ২০১০ সালে উপনির্বাচনে আমি মনোনীত না হলে বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এর সাঙ্গে আওয়ামী লিগের একজন কর্মী হয়ে কাজ করেছিলাম।

আমি আশাকরি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা ৩ আসনে মনোনীত করলে আবারও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তবে আওয়ামীলীগ আমাকে মনোনয়ন না দিলেও দলের সাথে আছি এবং বাকিটা জীবন আওয়ামী লীগের সাথে থাকবো ।

ভোলা-৪ আসনে বর্তমান বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (এমপি)। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন এর নাম ও এখন আলোচনায় ভাষছে। তবে উন্নয়নমুলুক কর্মকান্ড ও জনপ্রিয়তায় আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এগিয়ে ।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক  

ছবিঃ সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল আলম বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এ বৈঠকে নির্বাচন, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বর্ধিত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে পাঁচটি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করছে সরকার।

এই ছয়টি কমিশন হলো বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

এ সময় জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে যা বলেছেন, তা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

মেটা প্ল্যাটফর্মে থাকছে না ফ্যাক্টচেকার, বাড়বে রাজনৈতিক কনটেন্ট: জাকারবার্গ  

মার্ক জাকারবার্গ। ছবিঃ সংগৃহীত

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসে ফ্যাক্টচেকার বাতিল করা হবে, সেন্সরশিপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হবে এবং রাজনৈতিক কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন টেক জায়ান্ট মেটা প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

এক ভিডিও বার্তায় জাকারবার্গ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে মেটা মুক্ত মতকে অগ্রাধিকার দিতে চায়। তিনি জানান, ফ্যাক্টচেকারের পরিবর্তে ‘এক্স’-এর মতো কমিউনিটি নোট চালু করা হবে।

জাকারবার্গ বলেন, মেটার ফ্যাক্টচেকারদের রাজনৈতিক পক্ষপাতের কারণে আস্থা ধ্বংস হয়েছে এবং তাদের কাজ প্রত্যাশিত ফল আনেনি। এজন্য কনটেন্ট মডারেশন টিমকে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে টেক্সাসে স্থানান্তর করা হবে। সেখানে দলগুলোর পক্ষপাতিত্ব নিয়ে কম উদ্বেগ রয়েছে।

মেটার নতুন ফিল্টারিং পদ্ধতিতে কেবল গুরুতর এবং অবৈধ কনটেন্টগুলোকে নিশানা করা হবে। কম গুরুতর বিষয়গুলোতে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ব্যবহারকারীদের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে মেটা। জাকারবার্গ বলেন, এতে কম খারাপ জিনিস ধরা পড়বে, তবে নির্দোষ পোস্ট এবং অ্যাকাউন্ট কম মুছে ফেলা হবে।

জাকারবার্গ আরও জানান, লিঙ্গ ও অভিবাসনের মতো বিষয়গুলোর ওপর সীমাবদ্ধতা কমানো হবে। যাতে করে ব্যবহারকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন।

জাকারবার্গ ইউরোপের সেন্সরশিপ আইন এবং লাতিন আমেরিকার গোপন আদালতের আদেশের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী সেন্সরশিপবিরোধী পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করা।

মেটার ওভারসাইট বোর্ডের সহ-সভাপতি ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলে থর্নিং-শ্মিট। কমিটির পক্ষ এই নতুন নীতিমালা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিক ক্লেগের পদত্যাগের পরে রিপাবলিকান নেতা জোয়েল ক্যাপলান এই পদে দায়িত্ব নেবেন। বোর্ড নিক ক্লেগের অবদানের প্রশংসা করে বলেছে, তিনি মেটার মুক্ত মতনীতির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

জাকারবার্গের বক্তব্য স্পষ্ট করে বলেছেন, সেন্সরশিপ কমাতে আমরা কনটেন্ট ফিল্টারগুলো পুনর্গঠন করছি। তবে এটি একটি ভারসাম্যের বিষয়। এতে কিছু খারাপ বিষয় এড়ানো কঠিন হবে, তবে নির্দোষ ব্যবহারকারীদের রক্ষা করাও সম্ভব হবে।

Header Ad
Header Ad

হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  

শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবিঃ সংগৃহীত

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেওয়া হবে। এক উচ্চপদস্থ সূত্র গতকাল ভারতীয় গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। তবে অনুমতির প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকার কারণে তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়। ভারতে আসার পর সাধারণ পলাতক নাগরিক হিসেবে তাঁর স্বল্পসময়ের ভিসা মঞ্জুর হয় ‘মানবিকতার’ কারণে। ইতোমধ্যে তাঁর ভারতে থাকা পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। এজন্য এবার দীর্ঘমেয়াদি ‘আবাসিক ভিসা’ বা রেসিডেনশিয়াল ভিসা দেওয়া হচ্ছে।

ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কোনো আইন নেই। তাই এ ধরনের পলাতক মানুষকে আবাসিক ভিসা দেওয়া হয়। এ ভিসা দেওয়া হলে শেখ হাসিনা সাধারণ নাগরিকের মতোই থাকতে পারবেন। তবে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কাজ করায় অসুবিধা হতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ভিসা অনুমোদন করেছে। ভারত সরকার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পলাতক হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে না। যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নোট ভার্বলের মাধ্যমে হাসিনার প্রত্যাবর্তন দাবি করেছে। এর আগে হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, তাঁর মা রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি এবং তাঁর পাসপোর্ট বাতিল হয়নি।

এর মধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাকে গণহত্যার অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। তারা হাসিনাকে ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় এনে বিচার করতে চান। যেহেতু ভারত সরকার ফেরত দেবে না এজন্য তারা ভারতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। কিন্তু এটা হয় কনস্যুলার সেকশনের মাধ্যমে। সরকারি যুক্তি হলো যারা কারাগারে বন্দি থাকেন তাদের জন্য এ সুবিধা আছে। হাসিনা যেহেতু গ্রেপ্তার হননি তাই তাঁর ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যখন ভারতে আসেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে পরে মামলা দায়ের করে ইউনূস সরকার। এখন ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত যত দিন তিনি থাকতে চাইবেন ভারতে থাকবেন।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক  
মেটা প্ল্যাটফর্মে থাকছে না ফ্যাক্টচেকার, বাড়বে রাজনৈতিক কনটেন্ট: জাকারবার্গ  
হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  
ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টায় সাগরে প্রাণ গেলো ২,২০০ অভিবাসীর  
ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করল সরকার  
ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করতে কমিশন ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক বুধবার
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৯৮ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ
এবার শাহীনকে ধরা হলো বিমানবন্দরে! আদালতে সোপর্দ
হৃদয়-মেয়ার্সের জুটিতে বরিশালের সহজ জয়
‘ফিরোজা’ থেকে বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে তাঁদের দেশকে দেখতে চান: ট্রাম্প
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
পাঁচদশক আড়ালে থাকা মেজর ডালিম বাংলাদেশে ফিরছেন!
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চান প্রধান বিচারপতি
আবারও বাড়বে শীতের দাপট, ঘন কুয়াশার সঙ্গে থাকবে ঠাণ্ডা বাতাস
পরিবারসহ নাফিজ সারাফতের বাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ
শিবগঞ্জ-মালদা সীমান্তে কাঁটাতার দেয়া নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের উত্তেজনা
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা পরিবহনমন্ত্রীর
ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ বাংলাদেশি চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন