কক্সবাজারে অস্ত্রসহ দুই জঙ্গি আটকের ঘটনায় মামলা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির পর অস্ত্র ও গুলিসহ দুই জঙ্গিকে আটকের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের এক সদস্য বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ সাতজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করে বলে জানায় পুলিশ।
আসামিরা হলেন- জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ এবং তার সহযোগী আবুল বাশার ওরফে আলম।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র এক শীর্ষ স্থানীয় নেতাসহ সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছে-এমন খবরে সন্দেহজনক স্থানে অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল । অভিযান চলাকালে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের সন্দেহজনক ৮ থেকে ১০ জন লোক দৌড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি টান্টু সাহা বলেন, সোমবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে র্যাব থানায় হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার সকালে র্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, অভিযানস্থল উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকায় হলেও অস্ত্র উদ্ধার এবং জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তারের ঘটনাস্থল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন।
ওসি জানান, সকালে মামলাটি নথিভুক্ত করার পর গ্রেপ্তারকৃতদের বান্দরবান আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসআইএইচ