ভাসানচরে পৌঁছাল আরও ৩৫৬ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে নতুন করে পৌঁছাল আরও ৩৫৬ জন রোহিঙ্গা।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ হাজার ৪৩৫ জনে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা টুনা ও বানৌজা তিমি যোগে ৩৫৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়। বিকালে রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ৯০ ও ৯৬নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য তাদের হস্তান্তর করা হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ বিকালে কক্সবাজার থেকে মোট ৭৬০ জন রোহিঙ্গা আসে। এদের মধ্যে পঞ্চদশ ধাপে ভাসানচরে নতুন করে আসেন ৩৫৬ জন রোহিঙ্গা। বাকিরা এর আগে ভাসানচর থেকে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছিল। তারাও আজ ভাসানচরে ফিরেছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১২৮৭ জন, একাদশ দফায় ১৭ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৬৫৫ জন ও দ্বাদশ দফায় ১০ মার্চ ২ হাজার ৯৮২ জন, ৩১ মার্চ ত্রয়োদশ দফায় ৩ হাজার ৫৩২ জন এবং ১৭ অক্টোবর চতুর্দশ দফায় ৯৬৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের মে-তে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।
এসজি