স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ রংপুরে
রংপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। নতুন ধরন অমিক্রন নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে নগরী থেকে উপজেলা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না কারও মধ্যে।
নাগরিক সচেতনতা তৈরিতে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও সিটি করর্পোরেশনকে সরকারিভাবে এখনও কোনো প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) জেলা শহরের বিপণিবিতান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। দেখে বোঝার উপায় নেই, দেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে আছে সরকারি বিধি-নিষেধ। সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে বাড়তি কোনো সতর্কতা চোখে পড়ছে না মানুষের মাঝে।
রংপুর নগরীর সিটি বাজার, নবাবগঞ্জ বাজার, বেতপট্টি, পায়রা চত্বর, কাচারি বাজার, জাহাজকোম্পানি এলাকাসহ ব্যবসাপ্রধান এলাকাসহ উপজেলাগুলো ঘুরে ও খবর নিয়ে দেখা গেছে, দোকান পাটগুলোতে মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। দু-একজনের মুখে মাস্ক থাকলেও তা আগের মতো থুতনিতে ঝোলানো। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকা ঘুরে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। স্কুল-কলেজে আসা প্রায় সব শিক্ষার্থী নিয়ম মেনে মাস্ক পরেছে।
রংপুর জেলা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মকসুদার রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে মানুষকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। একটু নিয়ম মানলেই শহরটা সুন্দর হয়ে উঠবে। সাধারণ জনগণ সেটি মানতে চান না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি খন্দকার ফখরুল আলম বেঞ্জু বলেন, ‘নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য সচেতন হতে হবে। সবাই নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকবে। সেটি করতে না পারলে করোনা সংক্রমণের বিপদ বাড়বে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ খবর লেখা পর্যন্ত জেলা তথ্য অফিসের মাইকযোগেও সচেতনতামূলক প্রচার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে শিগগিরই পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে।’
রংপুরের জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আসিব আহসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত করা হবে। সেই সঙ্গে জেলা তথ্য অফিসের মাইকযোগেও সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করা হবে।’
/এএন