চকরিয়ায় মহিষ চুরির মামলায় চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মহিষ চুরির মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া ( বর্তমানে জামিনপ্রাপ্ত) উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ শূণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। গরু ও মহিষ চুরিতে অভিযুক্ত এবং নানা অনিয়মের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে চকরিয়া সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসাইনের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইন বিরুদ্ধে বর্তমানে মহিষ চুরিসহ রায় আছে। এই কারণে স্থানীয় সরকার আইনের বিধি মতে, নবী হোসেনকে বরখাস্ত করে চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, নবী হোসেন ও তার ভাইয়েরা মিলে তৈরি করেছে গরু ও মহিষ চুরির বিশাল গ্যাং (চক্র)। সেই গ্যাং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান, এমনকি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে দীর্ঘদিন ধরে গরু ও মহিষ চুরি করে আসছে। নবী হোসেনের এই গ্যাংটি জেলাজুড়ে গরুর মালিকদের জন্য এক মুর্তিমান আতঙ্ক। অসংখ্য চুরির ঘটনা ঘটালেও অনেক ঘটনায় ধরা পড়েছে চোর চক্রের সদস্যরা। এসব ঘটনায় নবী হোসেনসহ তার গ্যাংয়ের সদস্য বিরুদ্ধে ১০টি বেশি মামলা রয়েছে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৫ জুন মহেশখালীর কুতুবজোমে থেকে ১৮টি মহিষের একটি পাল চুরি করে নবী হোসেনের চোর চক্র। এই ঘটনায় নবী হোসেন চৌধুরী ওরফে নইব্যা চোরা তার ভাই লেদু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর কারাগারে যায় নবী হোসেন।
এএজেড