শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সাংবাদিক আনিসুর রহিমের চিরবিদায়

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চির বিদায় নিলেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক, দৈনিক পত্রদূতের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি, অধুনালুপ্ত দৈনিক সাতক্ষীরা চিত্রের সম্পাদক, সাতক্ষীরা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত বীরমুক্তিযোদ্ধা (সার্টিফিকেট গ্রহণকারী নন) অধ্যাপক মো: আনিসুর রহিম (৬৮)।
বুধবার (৪ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় আনিসুর রহিমের মরদেহ আনা হয় সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজে। সেখানে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। এরপর তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় সাতক্ষীরা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে। সেখানে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রিয় শিক্ষককে শেষ বারের মতো ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সাংবাদিক আনিসুর রহিমের মরদেহ আনা হয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাঁর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় শোকার্ত মানুষের ঢল নামে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে। শ্রদ্ধার ফুলে ভরে যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নাগরিক নেতা মানবাধিকার সংগঠক আনিসুর রহিমের কফিন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা। এ সময় শোকার্ত মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের চত্ত্বর। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম। জানাজা নামাজ শেষে সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ আনিসুর রহিমকে সাতক্ষীরা কামালনগর কবরস্থানে কবরস্থ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা জেলার নাগরিক নেতা সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুর রহিম মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি ২০২৩) দুপুর ১টার দিকে সপরিবারে সুন্দরবন ভ্রমনে যাওয়ার সময় পতিমধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। যশোর এমএম কলেজের ষাটের দশকের তুখোড় এই ছাত্রনেতা সত্তরের দশকের শুরুতে সাংবাদিকতা শুরু করেন। আপোষহীন সাহসী সাংবাদিকতা করার কারণে অসংখ্যবার তিনি হামলা-মামলার শিকার হন।
এএজেড
