সরকারি হাসপাতালের ঔষধ পাচার, তদন্ত কমিটি
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুই স্টাফ নার্সকে চোরাইকৃত একলাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ পাচারকালে হাতেনাতে আটক করেছে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে শহরের হাছননগর এলাকা থেকে এই দুইজন কে আটক করা হয়।
এঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসা সেবাসহ রোগীদের খাবার ব্যাবস্থা সহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা বলে আসছে সাধারণ মানুষ, এরিমধ্যে সরকারি ঔষধ স্যালাইন সহ পুলিশের হাতে আটক হাসপাতালে কর্মরত ২ স্টাফ (নার্স) ব্রাদার। এ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, এটি জগন্য ঘটনা সরকারি ঔষধ হাসপাতাল থেকে ব্রাদার বাহিরে নিয়ে বিক্রি করবে এ চেয়ে খারাপ কাজ কি হতে পারে এর সাথে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত আছে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই জিয়াউর করিম জানান, ২৮ ডিসেম্বর বুধবার বিভিন্ন ঔষধ, স্যালাইন, ক্যানোলা পলিবস্তায় করে সি এন জি গাড়িতে করে হাছননগর পানি শোধনাগারের সামনে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে মোস্তাফিজকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে রফিকুল ইসলাম নামে আরো একজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে আনুমানিক একলক্ষ সত্তর হাজার টাকা মুল্যের সরকারি বিভিন্ন ঔষধ, স্যালাইন, ইনজেকসন, কেনোলা,উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার মজবিপুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। আরেকজন বরিশাল জেলার কাওনিয়া থানার উত্তর লামছরি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, এরা দুই জনেই ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) হিসেবে কর্মরত ছিল।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
এএজেড