হবিগঞ্জের দুই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ আগামীকাল

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৭নং নুরপুর ও ১১ নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ হবে। নুরপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী হলেও নৌকা-আনারস প্রতীকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এবং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও লড়াই হবে চতুরমুখি।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, নুরপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ সেবন মিয়া নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন পাঁচ বারের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও রাজনৈতিতে রয়েছে বড় পরিচয়। তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি।
উভয়েই ভোটারদের কাছে হেভিয়েট প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের মন জয় করেছেন। একজন সরকার দলীয় নেতা অন্যজন জনসেবায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক। দুই জনেরই রয়েছে অর্থবিত্ত। তাই ভোটাররা মনে করেন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এই ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন এস এম হেলাল।
এদিকে ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হোসাইন আদিল জজ মিয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল নিয়ে মাঠে তাজুল ইসলাম রানু, চশমা প্রতীকে জাহাঙ্গীর মিয়া চৌধুরী, আনারস প্রতীকে জসিম উদ্দিন।
অন্য দুইজন প্রার্থী হলেন, টিপু সুলতান (ঘোড়া) ও হুমায়ূন কবির (অটোরিকশা)। সরেজমিনে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিল্পাঞ্চলখ্যাত এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের জন্য ছয় জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তাদের মধ্যে এজন প্রার্থী জসিম উদ্দিন। তিনি শিক্ষিত ও মার্জিত এবং সামাজিক মানুষ। কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নন।
এছাড়া অন্য সব প্রার্থীই কোন না কোন রাজনীতির সাথে জড়িত। জাহাঙ্গীর মিয়া চৌধুরী বিএনপি মতাদর্শের। অন্য চারজন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ভোটারদের কাছে আলোচনায় রয়েছেন- হোসাইন আদিল জজ মিয়া (নৌকা), তাজুল ইসলাম রানু( মোটরসাইকেল), জাহাঙ্গীর মিয়া চৌধুরী (চশমা) ও জসিম উদ্দিন (আনারস)।
জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মোঃ সাদেকুল ইসলাম বলেন, নিবার্চন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও আনসার, পুলিশ, বিজিবি এবং র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ, নুরপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮১১ এবং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৩০২ জন। ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এএজেড
