রংপুরে বিজিবির গাড়িতে আগুন, নিখোঁজ বিজিবি সদস্য
রংপুরে বিজিবির টহল গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা সমর্থকরা। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন একজন বিজিবি সদস্য। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৮টায় সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এ ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল প্রদানের সময় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থী হারাধন রায় হারা এবং অপর প্রার্থী একরামুল হকের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় কেন্দ্রের সামনের সড়ক দিয়ে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে থাকা বিজিবির একটি টহল গাড়ি যাচ্ছিল। উত্তেজিত জনতা হঠাৎ করে ওই গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে প্রাণভয়ে সেখানে থাকা ৬ বিজিবি সদস্যের মধ্যে ৫ জন নেমে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেয়। তখন উত্তেজিত জনতা ওই দোকানে হামলা চালালে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আবারও গাড়িতে হামলা চালালে গাড়িতে থাকা চালক এবং অপর বিজিবি সদস্য গাড়ি থেকে নেমে যায়। তখন উত্তেজিত জনতা গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ এসে আগুন নেভায়।
তিনি আরও জানান, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির ৩ শতাধিক ফোর্স সেখানে উপস্থিত হয়। আমরা পুরো এলাকা রেকি করে তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন থেকে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হারাধন রায় হারাকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। ঘটনাটি এতটাই অনাকাঙ্খিত যে আমরা হতবাক হয়ে গেছি।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে ওই পুলিশ জানান, জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। হারাধন রায় হারা রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন জানান, কোনো ধরনের সহিংসতা আমরা জিরো টলারেন্সে মোকাবেলা করব না। অপরাধী যে দল কিংবা যত রাঘোব বোয়াল হোক না কেন কেউ পার পাবে না। দুটি ঘটনাতেই আইনশৃঙখলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়াও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে পুরো নগরীজুড়ে।
এসআইএইচ