৪ বছর পালিয়েও নাছিরের শেষ রক্ষা হয়নি
এক বছরের সাজা হয়েছিল নাছির আহম্মদ ভূঁইয়া (৪৮) নামের এক ব্যক্তির। তবে সেই সাজা থেকে বাঁচতে চার বছর ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছেন পুলিশের কাছে। ফেনীর সোনাগাজীতে চেক প্রতারণার ঘটনায় করা মামলায় সোমবার রাতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের একটি বাসা থেকে নাছির আহম্মদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাছির সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চর চান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা মকবুল আহম্মেদের ছেলে। তবে নাছির জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজেকে নোয়াখালী সদর উপজেলার উজ্জ্বলপুর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। সোনাগাজী পৌর এলাকায় এক সময় নাছিরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোনাগাজী থানার এএসআই মো. জুয়েল সরকার বলেন, ফেনীর আদালত থেকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা পাওয়ার পর পুলিশ নাছিরের খোঁজে মাঠে নামে। তবে নাছির প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। এক সপ্তাহ আগে নাছিরকে ধরতে তিনি ছদ্মবেশে নাছিরের গ্রামের বাড়িতে এবং সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি নাছিরের মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। ওই নম্বরের সূত্র ধরে ফেনী শহরের ট্রাংক রোড এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে উপজেলার সোনাপুর এলাকার স্কুলশিক্ষক সফিকুল ইসলাম চেক প্রতারণার অভিযোগে নাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। পরে ওই মামলায় নাছিরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তবে কিছুদিন পর নাছির জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। একই বছরের ডিসেম্বরে নাছিরকে এক বছরের কারাদণ্ড ও চার লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন দাইয়ান বলেন, নাছিরকে গ্রেপ্তারের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এএজেড