নয়মাস পর সুনামগঞ্জ সীমান্তে কয়লা আমদানি শুরু
ভারতীয় রপ্তানিকারকদের আইনি জটিলতার জন্য দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাও শুল্ক স্টেশন দিয়ে সুনামগঞ্জের মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজের এলসিকৃত কয়লা আমদানির মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘদিন আইনি জটিলতার কারণে ভারতীয় কয়লা আমদানি বন্ধ পর আবারও কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত নয়মাস ভারতীয় রপ্তান্তিকারকদের সেদেশের পরিবেশবাদীদের একটি মামলার প্রেক্ষিতে গত নয়মাস সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার তিন শুল্ক স্টেশন-বড়ছড়া, চারাগা ও বীরেন্দ্রনগর (বাগলী) দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে কয়েক শতাধিক ব্যবসায়ী ও পোর্ট এলাকার প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিল।
আনুষ্টানিকভাবে ভারতীয় কয়লাবাহী ট্রাক গ্রহন করেন, তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হাজি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাহিরপুর উপজেলার চারাগাও শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হাসনাত মিয়া গ্রুপের কোষাধক্ষ্য হাজি জাহের আলী,গ্রুপের সচিব রাজেশ তালুকদার প্রমুখ।
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হাজি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, আমাদের আমদানিকারকদের মোটা অংকের লোকশান গুনতে হয়েছে। আমদানিকারকদের কোটি কোটি টাকা অলস পড়ে ছিল রপ্তানিকারকদের কাছে। এখন আমদানি অব্যহত থাকলে সেই ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে আমদানিকারকগণ। দীর্ঘদিন পর কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় পোর্ট এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ ও আমদানি কারকদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
রাজস্ব কর্মকর্তা হাসনাত মিয়া বলেন, শুধু চারাগাও শুল্ক স্টেশন দিয়ে সুনামগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জিয়াউল হকের মালিকানাধীন মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজের ১৪টি ট্রাকে প্রায় ২৫০ মে.টন (কমবেশি হতে পারে) কয়লা দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে আশা করি পর্যায়ক্রমে বীরেন্দ্রনগর ও বড়ছড়া শুল্ক স্টেশন দিয়েও আমদানি কার্যক্রম শুরু করবে ভারতীয় রপ্তানিকারকগণ।
এএজেড