ছাত্রদলের ১৬১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তবে এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্র জানায়, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুজ্জামান মামলাটি করেন। এতে ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক ছাত্রদল নেতা জুয়েল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবদুর রহিম রাজন, আবদুল আজিজ মিশু, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আবুল বারাকাত সৌরভ, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান অভি, যুগ্ম-আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন রনি, ছাত্রদল নেতা বায়েজীদ ভূঁইয়া, কাউছার আহমেদ এবং রানা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের পুরাতন আদালত সড়কে জড়ো হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি ও বাজারে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। এসময় তাদের কোনো কর্মসূচি থাকলে সেখানে যাওয়ার জন্য বলে পুলিশ। বাজারে মানুষের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্যও তাদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ছাত্রদলের উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা তা মানতে নারাজ ছিল। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে উদ্দেশ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে মামলার বাদী আনিছুজ্জামান, কনস্টেবল শফিক উল্যা ও জিসান আহমেদ আহত হয়। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেলা ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় চক বাজার এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে আসছিল। শহরের ব্রিজ পার হলেই পুলিশ নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে পুলিশ সদস্যরা নেতা-কর্মীদের এলোপাতাড়ি লাথি-কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারে। তাদের মারধরে নেতা-কর্মীরা সড়কে পড়ে আহত হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিদান চৌধুরী বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা কারণে পুলিশ হামলা করে। তখন আমরা সেখান থেকে চলে যাই। পরে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলায় দেওয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এসজি